ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ রোমানিয়ার বুখারেস্টে নেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহ বহনকারী ফ্রিজার ভ্যানটি ইউক্রেন থেকে মলদোভার পথে যাত্রা করে।
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভ্যানটি মলদোভা পৌঁছানো কথা রয়েছে। সেখান থেকে রোমানিয়ার বুখারেস্ট এসে পৌঁছাতে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ লাগতে পারে বলে জানা গেছে।
নিউজবাংলাকে শুক্রবার বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি ক্যাপ্টেন এনাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘গতকাল হাদিসুরের মরদেহ রোমানিয়া নিয়ে আসার কথা থাকলেও কাগজপত্র জটিলতায় তা হয়নি। রোমানিয়া সরকার তার পরিবারের সম্মতিপত্র চায়। ঢাকা থেকে ই-মেইলে তা পাঠানোর পর আজ হাদিসুরের মরদেহ রোমানিয়ার নিয়ে আসা হচ্ছে।
‘রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মরদেহ গ্রহণ করবেন।’
রোমানিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী নিউজবাংলাকে জানান, হাদিসুরের মরদেহ দেশে পাঠানোর আগ পর্যন্ত বুখারেস্টে সাময়িকভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে মরদেহ দেশে পাঠানো হবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম শুক্রবার ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, দাপ্তরিক কাজ শেষে ১৩-১৪ তারিখ বাংলাদেশে পৌঁছাবে হাদিসুরের মরদেহ ।
এর আগে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজটি ২১ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের বন্দর এরেগলি ছেড়ে যায়। সেটি ২৩ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বন্দর অলভিয়ায় পৌঁছে।
ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করে। রাশিয়ার সামরিক অভিযানে ইউক্রেনে পরিস্থিতির অবনতি হলে শিপিং করপোরেশনের নির্দেশে পণ্য লোড করার পরিকল্পনা বাতিল করে সেখানেই জাহাজটিকে অবস্থান করছিল।
পরে ২ মার্চ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৫ মিনিটে যুদ্ধবিমান থেকে রকেট হামলায় জাহাজের ডেকে আগুন ধরে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন জাহাজের ক্রু ও নাবিকরা। ওই হামলায় নিহত হন জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান।
গত ৯ মার্চ দুপুরে টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে জাহাজের ২৮ নাবিক-ক্রু দেশে পৌঁছান।