কুড়িগ্রামের সদর উপজেলায় সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহতের ঘটনায় ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে রাতেই নিহত বকুল মিয়ার বড় ভাই মুকুল মিয়া সদর থানায় মামলা করেন। এতে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের নওয়াবস আবাসন প্রকল্প গুচ্ছ গ্রামের মোরশেদুল হক, জাহিদ হাসান ও তার স্ত্রী আফরোজা বেগম, সওদাগর পাড়া গ্রামের রওশন ইসলাম, রাশিদুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম ওরফে ময়নুল, রানা ইসলাম, হানিফ আহমেদ, মদিনা বেগ এবং রোজী বেগম।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, সম্প্রতি ধরলা আবাসন প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারী এক কিশোর ও কিশোরীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে তাদের দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গেলে এক পক্ষের ছুরিকাঘাতে উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের উত্তর নওয়াবশ গ্রামের বকুল মিয়া গুরতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান বলেন, ‘হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ১০ জনের নাম উল্লখসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।