বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফ্রেইটার সেবা: বিদেশি এয়ারলাইনস সফল, বিমান কেন নয়

  •    
  • ১১ মার্চ, ২০২২ ১৩:০৬

বাংলাদেশ থেকে দূরপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেমন হংকং, চীন মালয়েশিয়া, কোরিয়াতে প্রচুর পণ্য যায়। বিপুল পরিমাণ আমদানিও হয় এসব দেশ থেকে। এই বাণিজ্য ধরতে বিমান বা দেশি এয়ারলাইনসগুলোর কোনো ভূমিকাই নেই।

দেশে শিল্পায়নের কারণে আকাশপথে পণ্য আনা-নেয়া প্রতি বছরই বেড়ে চলেছে। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে শাকসবজিরও একটি বড় বাজার তৈরি হয়েছে। এই পণ্য আনা-নেয়ার বড় অংশটিই নিয়ন্ত্রণ করছে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো। সক্ষমতায় অনেক পিছিয়ে দেশি এয়ারলাইনস।

৫০ বছরেও বাংলাদেশ বিমানসহ দেশি এয়ারলাইনসগুলো ফ্রেইটার বা কার্গো বহনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। এর কারণ, কার্গো পরিবহনে নির্দিষ্ট কোনো উড়োজাহাজ বিমানের নেই। উড়োজাহাজের লাগেজ বহনের জায়গায় সীমিত পরিমাণ পণ্য পরিবহন করে দেশি এয়ারলাইনসগুলো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বছর দুয়েক আগে পণ্য পরিবহনের জন্য আলাদা উড়োজাহাজ কেনার তাগাদা দিলেও সেটি আগায়নি। এ জন্য করোনার প্রাদুর্ভাবকে দায়ী করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী। জানিয়েছেন, করোনার প্রভাব কেটে যাওয়ায় এখন বিষয়টি এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) তথ্য বলছে, ২০১৩ সালে দেশ থেকে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৪০ টন পণ্য পরিবহন হয়েছে আকাশপথে।

২০১৪ সালে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬ টন, ২০১৫ সালে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯৮ টন, ২০১৬ সালে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৩১০ টন, ২০১৭ সালে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ২১৭ টন, ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৭০ হাজার টন এবং ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৫০ হাজার টন পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়।

এর মধ্যে করোনার হানায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে এভিয়েশন খাত। তারপরেও ২০২০ সালে ২ লাখ ৬৩ হাজার টন পণ্য আকাশপথে পরিবহন হয়েছে।

এসব পণ্যের ৯০ শতাংশই পরিবহন করেছে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো।

ফ্রেইটার সেবায় বিমান সফল না হওয়ার পেছনে পরিকল্পনার অভাবকে দুষছেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা। বিমান পরিচালনা পর্ষদের সাবেক পরিচালক কাজী ওয়াহেদুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে কার্গোর একটি বড় বাজার আছে। এটা বিরাট একটি বাজার। আমরা এটা নিতে পারছি না, বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো সব নিয়ে যাচ্ছে।

‘তারা ক্যাপাসিটি বিল্ডআপ করছে, সময়মতো ডেলিভারি দিচ্ছে, অনওয়ার্ড কানেকশন দিতে পারছে। বিমানের ক্ষেত্রে বা আমাদের দেশি এয়ারলাইনসগুলোর ক্ষেত্রে তারা তো পয়েন্ট টু পয়েন্ট ট্রাফিক ক্যারি করে। যেমন ঢাকা-দুবাই। কিন্তু দুবাইয়ে আর কতটুকু কার্গো হবে?’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ঢাকা থেকে যে কার্গো যায় তার ৮০ ভাগ হলো অনওয়ার্ড, ইউরোপ বা আমেরিকার বিভিন্ন দেশে। আমরা এই অনওয়ার্ড কানেকশনটা দিতে পারছি না। আমাদের সেই রুট ম্যাপটা নেই। এর জন্য যে সক্ষমতা প্রয়োজন সেটি আমাদের নেই। আমরা রিটার্ন কার্গোও পাচ্ছি না।’

বাংলাদেশ থেকে দূরপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেমন হংকং, চীন, মালয়েশিয়া, কোরিয়াতে প্রচুর পণ্য যায়। বিপুল পরিমাণ আমদানিও হয় এসব দেশ থেকে। এই বাণিজ্য ধরতে বিমান বা দেশি এয়ারলাইনসগুলোর কোনো ভূমিকাই নেই।

কাজী ওয়াহেদুল আলম বলেন, ‘দুই-একটি এয়ারলাইনস চেষ্টা করেছে। আমি মনে করি, বিমানের একটি আলাদা কার্গো ডিভিশন করা উচিত। অনেক পুরোনো ফ্রেইটার উড়োজাহাজ কিনতে পাওয়া যায়, ভাড়াও পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও তারা এটা নিয়ে কোনো কাজ করেনি।’

বিমান এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি বিমান চলাচল প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি জানান, পণ্য পরিবহনের জন্য দুটি ফ্রেইটার উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।

নিউজবাংলাকে মন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোভিডের আগে একটি উড়োজাহাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুটি ফ্রেইটার উড়োজাহাজ কেনার কথা বলেছিলেন। এরপর কোভিড চলে আসল এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলো এভিয়েশন খাত; শুধু বাংলাদেশেরই নয়, পৃথিবীজুড়ে। এতে বিষয়টি বিলম্বিত হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর