রাজধানীর মিরপুর ও বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে এ দুই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুটি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন। তাদের একজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
মিরপুর
শাহ আলী এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সামান্তা আলম যুথী নিহত হন।
সামান্তা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার নুরুল ইসলাম টিপুর মেয়ে। তিনি মিরপুরের দিয়াবাড়ি এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
সামান্তা ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের (ইউআইটিএস) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
এই ঘটনায় নিলয় নামের এক ছাত্র সামান্য আহত হয়েছেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
দারুসসালাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুমিল্লায় বনভোজনে যান ওই ছাত্রী ও তার সহপাঠীরা। সেখান থেকে সহপাঠী নিলয়ের সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন সামান্তা। মিরপুরে শাহ আলী মাজারের সামনে তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে দুজনই রাস্তায় ছিটকে পড়েন।
এসআই আরও জানান, আহত দুজনকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সামান্তাকে মৃত বলে জানান। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে রাখা হয়েছে।
বনানী
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে কাজী আমিনুল হক নামের একজন নিহত ও সুমন মিয়া নামের একজন আহত হন।
দুর্ঘটনার পর উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসক আমিনুলকে মৃত ঘোষণা করেন। সুমন মিয়া চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হতাহত দুজন মহাখালী স্কুল রোডের বাসিন্দা।
বনানী থানার এসআই সাইফুল আলম জানান, আমিনুল ও সুজন মোটরসাইকেলে করে মহাখালীর আমতলী থেকে বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কলেজের সামনে আইল্যান্ডে ধাক্কা খায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এসআই আরও জানান, মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।