বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অনশন ভাঙল এসপির আশ্বাসে

  •    
  • ১১ মার্চ, ২০২২ ১১:৩২

বরগুনা পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, ‘দিনমজুর বৃদ্ধ বেলায়েত বৃহস্পতিবার সকালে অনশনে বসেন। জানতে পেরে রাতে এসে তাকে পানি ও খাবার খাওয়াই। তার কাগজপত্র দেখে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে অনশনে বসা সেই বৃদ্ধ বেলায়েত হোসেনের কথা শুনতে ছুটে গেলেন বরগুনার পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ওই বৃদ্ধের কাগজপত্র দেখে জমি বুঝিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে অনশন ভাঙান পুলিশ সুপার।

বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘এসপি স্যার জমির লিখিত দরখাস্ত দিতে বলেছেন।

‘তিনি আমাকে সব কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেছেন৷ আমি রোববার কাগজপত্র নিয়ে আসব। তিনি ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেয়ায় অনশন ভেঙেছি।’

পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, ‘দিনমজুর বৃদ্ধ বেলায়েত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনশনে বসেন। জানতে পেরে রাতে এসে তাকে পানি ও খাবার খাওয়াই। সাধ্যমতো তাকে সহায়তার চেষ্টা করেছি। তাকে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেছি। কাগজপত্র দেখে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এর আগে এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে জমি জবরদখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ এনে ওই জমি দখলমুক্ত করার দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন ওই বৃদ্ধ।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তিনি জায়নামাজ বিছিয়ে অনশনে বসেন। বেলা ১টার দিকে একজন ব্যক্তি সেখানে গিয়ে ব্যানার ছিঁড়ে তাকে অপদস্ত করে অনশন থেকে তাকে উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন ওই বৃদ্ধ।

বেলায়েত হোসেন পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের পূর্ব লেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা। বেলায়েত হোসেনের অভিযোগ, কাকচিড়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির সামনে কাকচিড়া-লেমুয়া সড়কের দক্ষিণ পাশে তার পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত জমি দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করছেন এমপি রিমন।

কাজ শুরুর পর তিনি এমপির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো লাভ হয়নি। পরে পাথরঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। নিরুপায় হয়ে আজ তিনি জমিতে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ ও দখলমুক্ত করার দাবিতে অনশনে বসেন।

জমির দলিল দেখিয়ে বেলায়েত বলেন, ‘লেমুয়া মৌজার জেএল নম্বর ৪, এসএ খতিয়ান নম্বর- ৫৪০/১১৬১, দাগ নম্বর ৩১৭০ এর ৩.৫০ শতাংশ জমিটি আমার। ওই জমি নিয়ে আদালতে বণ্টন মামলা বিচারাধীন। ওই মামলায় জমিতে স্থিতাবস্থা জারি করে আদেশ দিয়েছে আদালত। সেই আদেশ অমান্য করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এমপি শওকত তার অনুসারী কাকচিড়ার মাহবুব দালালকে দিয়ে ওই জমিতে মাটি কাটার কাজ শুরু করেন।

‘এতে বাধা দেয়ার পর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কথা হয়, কিন্তু গত রোববার দুপুর ১টার দিকে আমি গিয়ে দেখি জমিতে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে। পরদিন পাথরঘাটা থানায় জমি দখলের লিখিত অভিযোগ করি। এর মধ্যে আমার ভাই অসুস্থ হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল নিয়ে যাই। ফিরে এসে দেখি গতকালও (বুধবার) ওই জমিতে কাজ চলছে। এ কারণে বাধ্য হয়ে অনশনে বসেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর