ময়মনসিংহের ফুলপুরে ‘জমির বিরোধে’ মারধরে বৃদ্ধ নূর ইসলামের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর হাসপাতালে ভর্তি তার স্ত্রীও মারা গেছেন।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান হনুফা খাতুন।
নূর ও হনুফার বাড়ি উপজেলার রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের কিসমত বেরুয়া গ্রামে।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিক্যালের পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন।
তিনি জানান, এক সপ্তাহ ধরে ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বুধবার থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মারধরের ওই ঘটনা গত শুক্রবারের।
ফুলপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কাদের চৌধুরী জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে জমিসংক্রান্ত বিরোধে নূর ইসলাম ও স্থানীয় পচন আলীর পরিবারের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে পচন আলী ও তার পক্ষের কয়েকজন নূর ইসলাম ও তার স্ত্রী হনুফা খাতুনের ওপর হামলা চালান।
এতে স্বামী-স্ত্রী দুজনই গুরুতর আহত হলে আশপাশের মানুষ তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে ৬৮ বছরের নূর ইসলাম মারা যান।
এ ঘটনায় প্রতিবেশী পচন আলীকে প্রধান আসামি করে এবং আরও সাতজনের নাম উল্লেখ করে সে রাতেই হত্যা মামলা করেন নিহতের নাতি সেলিম মিয়া।
ফুলপুর থানার ওসি জানান, গত ৭ মার্চ মামলার ৩ নম্বর আসামি মাইন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যরা এখনও পলাতক।