বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে ঢুকে নার্সকে মারধরের ঘটনায় ট্যুরিস্ট পুলিশের তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তারা হলেন ট্যুরিস্ট পুলিশ বরিশালের ইন্সপেক্টর বুলবুল আহমেদ, কনস্টেবল মো. জাভেদ ও মো. মেহেদী।
ট্যুরিস্ট পুলিশ বরিশাল রিজিয়নের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নার্সের ওপর হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ততার সত্যতা পাওয়ায় তাকে প্রত্যাহার করে ট্যুরিস্ট পুলিশের হেডকোয়ার্টারে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জরুরি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাইফুল ইসলামকে ওই পুলিশ সদস্যরা মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
সাইফুল নিউজবাংলাকে জানান, বুধবার গভীর রাতে বরিশাল নগরীর রূপাতলী উকিল বাড়ি সড়কের সামনে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় ট্যুরিস্ট পুলিশের বরিশাল জোনের পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) সালাউদ্দিন মামুন আহত হন। তাকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে ভর্তির জন্য আনা হয়।
‘ভর্তি রেজিস্ট্রির ফি দেয়ার আগে রোগীকে ডাক্তারের কাছে নেয়া যাবে না জানালে মামুনের সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে আমার তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে তারা জোর করে জরুরি বিভাগের কাউন্টারের ভেতর ঢুকে আমাকে মারধর করে’, বলেন সাইফুল।
হাসপাতালের ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজে মারধরের এই দৃশ্য দেখা যায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কর্মবিরতিতে যান হাসপাতালের নার্সরা। তারা পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ, মহানগর পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর তাদের আশ্বাসে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা আবার কাজে যোগ দেন।