ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে পুলিশের বিশেষ শাখার এক সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোতাহার হোসেন ভবনের সামনে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আব্দুর রব পুলিশের বিশেষ শাখার (স্পেশাল ব্রাঞ্চ-এসবি) সহকারী উপপরিদর্শক।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান আহমেদ। তিনি ডেইলি সানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
রায়হান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের একটা সংবাদ সম্মেলন ছিল। আমি সেটা কাভার করে মাঠের সামনের রাস্তার ফুটপাত ধরে হেঁটে পশ্চিম দিকে (পুলিশ বক্সের দিকে) যাচ্ছিলাম। মোড়ের কাছাকাছি এসে দেখলাম এক মাদকাসক্ত সিরিঞ্জ নিয়ে ড্রাগ নিতে নিতে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘তাকে এভয়েড করার জন্য আমি রাস্তার কিনারায় নেমে হাঁটা শুরু করি। এসময় হঠাৎ পেছন থেকে একটা বাইক এসে আমার পেছনে লাগিয়ে দেয়। আমি পেছনে ফিরে তাকে ভাই কী সমস্যা জিজ্ঞেস করতেই বাইকচালক হঠাৎ মারমুখি হয়ে উঠেন।’
রায়হান বলেন, ‘আমি প্রতিবাদ করলে তিনি প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে আমাকে মারধর শুরু করেন। আমার শার্টটা টেনেহিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলে। আমি তখন কিছু ভেবে না পেয়ে তার আইডি কার্ড ও বাইকের চাবি নিয়ে সামনের পুলিশবক্সে চলে আসি।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বক্সের সামনে আসার পর রায়হান ফোনে তার বন্ধুদের বিষয়টি জানালে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করে। এতে সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।’
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. আব্দুর রহিম এবং পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ উপপুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশিদসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসলে পুলিশি নিরাপত্তায় অভিযুক্তকে শাহবাগ থানায় নেয়া হয়।
থানায় রমনা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ উপপুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি। ইতোমধ্যেই এসবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আমাকে অভিযুক্তের বরখাস্তের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। এখন বিভাগীয় নিয়ম অনুযায়ী ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া নেয়া হবে।’