বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যাংকের পর মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা

  •    
  • ১০ মার্চ, ২০২২ ২১:৩৩

মৌলভিত্তির কিছু কোম্পানির শেয়ারদর অবমূল্যায়িত হয়ে পড়েছে বলে ফান্ড ম্যানেজাররা মনে করছেন। যেখানে এখন বিনিয়োগে লাভবান হওয়া সম্ভব। তাই ফান্ড ম্যানেজাররা তাদের হাতে থাকা অর্থ দ্রুত বিনিয়োগ করবেন বলে জানিয়েছেন।

ব্যাংকের পুঁজিবাজারে এবার বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দিলেন মিউচুয়াল ফান্ডের ব্যবস্থাপকরা।

তারা মনে করেন, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় দেশের পুঁজিবাজারে পতনে অনেক কোম্পানির শেয়ার অবমূল্যায়িত হয়ে গেছে। এখন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে লাভবান হওয়া যাবে।

বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কার্যালয়ে এক বৈঠকে এসব কথা বলা হয়।

বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনাকারী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অফ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ডসের (এএএমসিএমএফ) সভাপতি ড. হাসান ইমাম।

আগের দিন বিএসইসি বসে ৩৩টি ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, যেসব ব্যাংক তাদের মূলধনের ২৫ শতাংশ এখনও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেনি, তারা দ্রুত ২ শতাংশ বিনিয়োগ বাড়াবে।

পুঁজিবাজারের জন্য গঠিত বিশেষ তহবিলে এখনও যেসব ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা জমা দেয়নি, সেগুলো তাতে টাকা জমা দেবে। যেসব ব্যাংক টাকা জমা দিয়েও বিনিয়োগ করেনি, তারা দ্রুত বিনিয়োগে যাবে- এমন সিদ্ধান্ত হয় সেদিন।

অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মৌলভিত্তির কিছু কোম্পানির শেয়ারদর অবমূল্যায়িত হয়ে পড়েছে বলে ফান্ড ম্যানেজাররা মনে করছেন। যেখানে এখন বিনিয়োগে লাভবান হওয়া সম্ভব। তাই ফান্ড ম্যানেজাররা তাদের হাতে থাকা অর্থ দ্রুত বিনিয়োগ করবেন বলে জানিয়েছেন।’

দেশে বর্তমানে ৩৬টি মেয়াদি ও ৭৭টি বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। এর মধ্যে মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এ ফান্ডগুলোর আওতায় থাকা সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।

মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের তুলনায় বেমেয়াদি ফান্ডগুলো তুলনামূলক ভালো করছে। ইউনিটধারীরা সম্পদমূল্য হিসেবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রিও করতে পারছেন। অন্যদিকে তালিকাভুক্ত ফান্ডগুলোর ইউনিটমূল্য সম্পদমূল্যের অর্ধেকেরও নিচে নেমে গেছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে।

বাংলাদেশে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করতে পারেনি। প্রতিবেশী ভারতে জিডিপিতে মিউচুয়াল ফান্ডের অবদান ১৪ শতাংশ, চীনে ১৩ শতাংশ, পাকিস্তানে দেড় শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ১ দশমিক ৩ শতাংশের বেশি হলেও বাংলাদেশে তা ১ শতাংশেরও কম।

দেশের ফান্ডের আকার খুবই ছোট বা অংশগ্রহণ কম হওয়ার বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেজাউল কবির। বলেন, ‘কমিশনের পক্ষ থেকে ফান্ড ম্যানেজারদের তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

‘বর্তমানে বাজারে তাদের যে ১৪-১৫ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন রয়েছে, সেটাকে উন্নত করতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে শেয়ারবাজারের স্থায়ী উন্নয়নে মিউচুয়াল ফান্ড খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।’

বিএসইসি জানায়, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোকে বড় বড় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারে আনার জন্য কাজ করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর