বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে জিয়া, ৭ মার্চের ভাষণ কাজের না: মান্না

  •    
  • ১০ মার্চ, ২০২২ ২০:৩৪

‘আমি আমার কথা বলছি না, একজন বিখ্যাত সাংবাদিক লিখছেন, অনেক বড় বক্তৃতা, কিন্তু সেই বক্তৃতা তো জনগণের জন্য কোনো কাজে লাগেনি। ‘আমি যদি হুকুম দেয়ার নাও পারি, তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করবে। ইতিহাসে এমন পেয়েছেন? বলেছিলেন ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলো। কটা ঘরে দুর্গ গড়ে উঠেছিল?’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম দাবি করেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রিত করেছেন জিয়াউর রহমান।

এমন নানা বক্তব্য দেয়ার পর বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে আওয়ামী লীগ। তারা অন্য সবার অবদান অস্বীকার করতে চায়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘উত্তাল মার্চ ১৯৭১’ বিষয়ে এক আলোচনায় এসব কথা বলেন তারা।

আলোচনায় প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে কাজগুলো করত, বর্তমানে আওয়ামী লীগও একই কাজ করছে।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘জিয়াউর রহমানই উত্তাল মার্চে জনগণের কাতারে এসে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’

মুক্তিযুদ্ধের উপপ্রধান সেনাপতি এ কে খন্দকারের কথা তুলে ধরে মান্না বলেন, ‘তিনি বলেছেন, ২৫ মার্চের আগে যদি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্দেশ দেয়া হতো, বাঙালি সৈন্য যে যেখানে আছ, অস্ত্র রেখে দাও, তাইলে এত রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের দরকার হতো না।’

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণকে নিয়ে কটাক্ষ করেন মান্না। তিনি বলেন, ‘আমি আমার কথা বলছি না, একজন বিখ্যাত সাংবাদিক লিখছেন, অনেক বড় বক্তৃতা, কিন্তু সেই বক্তৃতা তো জনগণের জন্য কোনো কাজে লাগেনি।

‘আমি যদি হুকুম দেয়ার নাও পারি, তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করবে। ইতিহাসে এমন পেয়েছেন?

‘বলেছিলেন ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলো। কটা ঘরে দুর্গ গড়ে উঠেছিল? বরঞ্চ এইতো সত্যি যে উনার দল আওয়ামী লীগসহ আমরা সবাই কেরানীগঞ্জ বা অন্যদিক দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু বাঙালি অসম্ভব ধৈর্যশীল বলে লড়াই করতে করতে আমরা জিতেছি।’

নাগরিক ঐক্যের নেতা বলেন, ‘৭ মার্চ যদি স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছেন দাবি করা হয়, তাহলে ১৫ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ ভুট্টো ইয়াহিয়া ও শেখ মুজিবের যে আলোচনা হয়েছিল, তার বিস্তারিত তথ্য আমাদের দেয়া হোক। কী কথা হয়েছিল? আমার খুবই স্পষ্ট মনে আছে, ২৪ তারিখে বিশেষ করে ইত্তেফাকে যে রিপোর্ট ছাপা হয়েছিল, সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, আপনারা যে আলোচনা করছেন সেটা ফলপ্রসু হওয়ার সম্ভাবনা আছে?

‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ফলপ্রসূ যদি নাই হয়, তাহলে আলোচনা করছি কেন?’

‘ফলপ্রসূ ২৫ এ রাত্রে হয়েছে, আমাদের উপর সরাসরি আক্রমণ হয়েছে’-বলেন মান্না।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় সামরিক-বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রিত করেছেন মেজর জিয়াউর রহমান।’

জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘আজ প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের অপমান করা হচ্ছে, আর সরকার বর্তমান মন্ত্রী তৎকালীন ৮ বছরের শিশুকে মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বলেন, ’৭১-এর উত্তাল মার্চে মেজর জিয়াউর রহমানই নেতৃত্ববিহীন জাতিকে তুর্জ ধ্বনি দিয়ে যুদ্ধে জাগিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ তখন ভারতে পালিয়েছিল। তাই আওয়ামী লীগ হলো মূলত শরণার্থীদের দল। তারা শরণার্থী হয়ে ভাতা পেতেন, আমরা ছিলাম তখন বাংলাদেশের রণাঙ্গনে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সবকিছু ধ্বংস করেছে, এই আওয়ামী লীগ রক্ষী বাহিনী দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে। আজ তারা র‌্যাব দিয়ে ৬০০ মানুষকে হত্যা করেছে।’

জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামও আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর