দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ১৫ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আর আবেদন ফি জমা দেয়া যাবে ১৬ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
বুধবার রাতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) এ কে এম আহসান হাবীবের সই করা বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদনের সময়সীমা ১৫ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট ও অনলাইনে টাকা জমা দেয়ার সময়সীমা ১৬ মার্চ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত পুনঃনির্ধারণ করা হলো।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে মেডিক্যাল ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১০ মার্চ আবেদনের সময় শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে সেটি বাড়িয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ১৫ মার্চ করা হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে ২৬ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত। আর ১ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তির যোগ্যতাযারা ২০২০ বা ২০২১ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় (পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ) উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০১৮ সালের আগে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না।
এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাওয়া জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসাবে ধরে মূল্যায়ন করা হবে। এ ক্ষেত্রে এসএসসিতে পাওয়া জিপিএর জন্য ৭৫ নম্বর এবং এইচএসসিতে পাওয়া জিপিএর জন্য ১২৫ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বর মিলিয়ে মোট ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা করা হবে।
নম্বর বণ্টনভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরের হবে। পরীক্ষায় ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এক ঘণ্টার পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের মান ১।
ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ১০ নম্বরের (মোট ১০০) প্রশ্ন থাকবে।
এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবে। কেবল কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
মেধা তালিকা যেভাবে তৈরি হবে১ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস অনুযায়ী। আগের বছরের এইচএসসি পাসদের মোট নম্বর থেকে ৫ এবং আগের বছরের সরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৭ দশমিক ৫ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।
অন্যান্য শর্তবাংলাদেশি নাগরিক যারা বিদেশি শিক্ষাকার্যক্রম থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছে তাদের সার্টিফিকেট সমতাকরণ করতে হবে। এ জন্য ২ হাজার টাকা জমা দিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) বরাবর আবেদন করতে হবে।
২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলে এবার পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষা অন্যান্য বছরের মতো হয়নি। পরীক্ষা হয় শুধু নৈর্বাচনিক বিষয়ে। আর আবশ্যিক বিষয়ে আগের পাবলিক পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করে মূল্যায়নের মাধ্যমে নম্বর দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাদ দেয়া হয় চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষাও। এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন।