সাতক্ষীরায় আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে হাতাহাতি ও ব্যালট ছিনতাইচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভোট স্থগিত করেছে জেলা প্রশাসন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা নুরুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার নির্ধারিত দিনে ভোট চলছিল। বেলা ১১টার দিকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানউল্লাহ সবুজের নেতৃত্বে নির্বাচনি বুথে হামলা চালানো হয়। এতে আহত হন সভাপতি প্রার্থী শাহ আলম।
সমিতির নির্বাচনে সদস্য পদের প্রার্থী সায়েদুজ্জামান সাহেদ জানান, সকাল ৮টা থেকে সমিতির মূল ভবনের দোতলায় পুলিশের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ক.ম রেজোয়ানউল্লাহ সবুজের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন আইনজীবী কেন্দ্রে ঢুকে পড়ে। তারা ভোট বন্ধ রাখতে বলে। তাতে আপত্তি জানালে ৬ নির্বাচন কমিশনারকে মারধর করা হয়। কেড়ে নেয়া হয় ব্যালট।
সাহেদ আরও জানান, তিনি ও সভাপতি প্রার্থী শাহ আলমসহ কয়েকজন সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। তখন শাহ আলমকেও মারধর করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। বেলা পৌনে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে সমিতির রেজোয়ানউল্লাহ পক্ষের সদস্য শাহানাজ পারভিন মিলি বলেন, ‘গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে শাহ আলমসহ কয়েকজন নির্বাচন প্রক্রিয়া চালাচ্ছিলেন। সমিতির একজন সদস্য হিসেবে রেজোয়ানউল্লাহ বাধা দিয়েছেন। কোনো হামলা হয়নি।’
জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির জানান, ভোট আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরে আলোচনা করে করণীয় ঠিক করা হবে।