বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: সাক্ষ্য শুরু ২০ মার্চ

  •    
  • ১০ মার্চ, ২০২২ ১৫:৪৩

উচ্চ আদালতের আদেশে দীর্ঘদিন সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচারকাজ স্থগিত ছিল। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে ফের মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২০ মার্চ তারিখ ঠিক করেছে আদালত।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জাকির হোসেন বৃহস্পতিবার এ তারিখ ঠিক করেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরিন শিল্পী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আসামিদের উপস্থিতির জন্য আজ ধার্য তারিখ ছিল। আসামিদের মধ্যে তারিক সাঈদ মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন কারাগারে থাকলেও তাকে হাজির করা হয়নি।

‘এ ছাড়াও আসামি আদনান সিদ্দিকী, ফারুক আব্বাসীর পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। সেই আবেদন গ্রহণ করে সাক্ষ্য শুরুর এই তারিখ ধার্য করেন বিচারক।’

ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ ও সেলিম খানের পক্ষে কোনো পদক্ষেপ নেননি তাদের আইনজীবীরা। বাকি দুই আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী পলাতক।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, উচ্চ আদালতের আদেশে দীর্ঘদিন মামলাটির বিচারকাজ স্থগিত ছিল। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে ফের মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ওই সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পারভীন সুলতানা দিতিকে। বিয়ের কিছুদিন পর তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। ওই সময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সোহেল চৌধুরী; জড়িয়ে পড়েন নেশার জগতে।

একপর্যায়ে নেশা ও জুয়ায় ডুবে থাকতেন সোহেল চৌধুরী। সেই জগতের অপরাধীদের সঙ্গে শুরু হয় বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে তার দ্বন্দ্ব। দ্বন্দ্বের জেরেই খুন হন তিনি।

বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবির সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন আদনান সিদ্দিকী, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

ওই বছরই আসামিদের মধ্যে একজন হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল৷

এ বিভাগের আরো খবর