রমজানকে সামনে রেখে এবং ইউক্রেন যুদ্ধকে ইস্যু করে বিএনপিপন্থি কিছু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্যের বাজার অস্থিতিশীল করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম। সেসব ব্যবসায়ীরা খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে রাখার কারণে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও বিডি হলে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও বিএনপির বড় বড় কিছু ব্যবসায়ী জড়িত রয়েছেন। মির্জা আলমগীরের চক্রান্তে যেসব ব্যবসায়ী আছেন, সেসব কিছু ব্যবসায়ী পরিস্থিতির সুযোগ নেন।’
আলোচনা সভায় বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, ‘এক শ্রেণির ব্যবসায়ী খাদ্য মজুদ করে অস্থিতিশীল করতে চায়। বিএনপি, জামায়াতের এক শ্রেণি ব্যবসায়ীদের উসকে দিতে চায়।
‘বিএনপির স্বার্থ বাস্তবায়নের জন্য এক শ্রেণির ব্যবসায়ী খাদদ্রব্য মজুদ করে মূল্য বৃদ্ধি করে মুনাফা লুটার চেষ্টা করে। দেশপ্রেমী ব্যবসায়ী ভাইদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, আপনারা দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকবেন। সরকার সজাগ থাকবে, বাজার মনিটরিং করবে ছাত্রলীগের কাছে আহ্বান এ বিষয়ে সর্তক থাকার।’
আরও পড়ুন : দাম বাড়ার পেছনে বিএনপির ব্যবসায়ী: তথ্যমন্ত্রী
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে হবে আপনাদের। ৭৫ এর পর জিয়াউর রহমান ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতে দেননি। ভাষণকে তারা ভয় পান।
‘এ ভাষণের মাত্র ১৮ দিনের ব্যবধানে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। সে ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু পারেনি। মুজিববিহীন বাংলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাওয়ার পথেও ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি: নিউজবাংলা
নানক আরও বলেন, ‘বিএনপির ভালো না লাগার বেরামে পেয়েছে। দেশকে পিছিয়ে নিতে চায় তারা। কাজেই আপনাদের সবসময় চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আইন সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, সংঠনটির বর্তমান সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ অনেকে।