কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের মামলায় এক যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
ওই যুবককে বুধবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হলে বিচারক পার্থ ভদ্র তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২৮ বছরের ওই যুবকের নাম মো. রাসেল মিয়া। তিনি উপজেলার চন্ডিবের উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয়ভাবে রাসেল পরিচিত মুখ। ভৈরবকে জেলার দাবিতে বিভিন্ন আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত তিনি।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা আদালতের পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও ভৈরব থানার এসআই শাকিব হাসান নিউজবাংলাকে জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় আদালত ওই যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছে।
এজাহারের বরাতে তিনি জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভৈরবে ২১ বছরের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলেন ওই যুবক। গত ৮ মার্চ নারী দিবসের সকালে মেয়েটি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।
ওই দিনই মেয়েটি থানায় এসে রাসেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এর ভিত্তিতে পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
রাসেলের পেশা কী- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘রাসেল নিজেকে নয়া আলো নামে একটি অনলাইন পোর্টালের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি ভৈরব জেলা বাস্তবায়ন অনলাইন ফোরাম নামক একটি গ্রুপের অ্যাডমিনের দায়িত্ব পালন করছেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভৈরব জেলা বাস্তবায়ন অনলাইন ফোরামের একজন মডারেটর জানান, রাসেলের সঙ্গে ওই মেয়ের পরিচয় হয় এই গ্রুপের মাধ্যমে। গ্রুপ পরিচালনার সুবাদে মাঝেমধ্যে তাদের কথাবার্তা হতো। তবে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না বিষয়টি তার জানা নেই।
এ ঘটনায় আসামি রাসেলের বাবা নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে বিবাহিত। সংসারে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।’