বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশের বিরুদ্ধে ২ স্কুলছাত্রের চুল কাটার অভিযোগ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১০ মার্চ, ২০২২ ১০:৪৫

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনা জেলার কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো ছাত্রের চুল কেটে দেয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল, বিষয়টি মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়।’

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে খুলনায় বিক্ষোভ সমাবেশকালে পুলিশের বিরুদ্ধে দুই স্কুলছাত্রের চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নগরীর কেডি ঘোষ রোডের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বুধবার বিকেল ৩টায় এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি রাত ১১টার দিকে জানাজানি হলে অনেকের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়। সমাবেশটির আয়োজন করে খুলনা জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল।

ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন নগরীর খানজাহান আলী থানা এলাকার সোনালী জুট মিল মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রাতিন ও ফুলবাড়িগেট আদর্শ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র নাহিদ। তাদের দুজনেরই বয়স ১৫ বছর।

শিক্ষার্থী রাতিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের সময়ে আমরা দুজন থানার সামনে দিয়ে খাবার খেতে যাচ্ছিলাম। এর মধ্যে কয়েকজন পুলিশ আমাদের জোরপূর্বক ধরে একটি সেলুনে নিয়ে যায়। পরে সেলুনের নাপিতকে আমাদের চুল কেটে দিতে বলে।

‘এ সময় প্রতিবাদ করলে আমাদের মারধর করে। পরে পুলিশের নির্দেশে নাপিত আমাদের চুল এলোমেলো করে কেটে দেয়। এরপর আমাদের বাড়ি চলে যেতে বলে।’

পরবর্তী সময়ে ওই দুই শিক্ষার্থী সমাবেশস্থলে এসে চুল কাটার বিষয়টি সবাইকে জানায়। এ সময়ে কয়েকজন খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল-মামুনের কাছে ঘটনার কৈফিয়ত চান, এর একটি ভিডিও নিউজবাংলার হাতে এসেছে।

ভিডিওতে ওসি হাসান আল-মামুনকে বলতে শোনা যায়, ‘ওরা (দুই ছাত্র) একজনের ১০০ টাকা নিয়েছে, সে হয়তো তাদের চুল কেটে দিয়েছে।’

তবে ওসির সামনে ওই দুই ছাত্র প্রতিবাদ করে বলেন, ‘পুলিশই আমাদের চুল কেটেছে। আমরা কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেইনি।’

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে পরে বিএনপির নেতারা পুলিশের বিরুদ্ধে একটি মিছিল করেন। এ সময়ে তারা স্লোগান দেয়, নাপিত পুলিশের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি হাসান আল-মামুন বলেন, ‘বিএনপি আর কোনো কিছু না পেয়ে চুল কাটা নিয়ে রাজনীতি করছে। যাদের চুল কাটার কথা বলা হচ্ছে, তারা বাচ্চা ছেলে। তারা আবার কিসের স্বেচ্ছাসেবক দলের লোক। আমরা তাদের চুল কাটিনি।’

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি নেতারা। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পাঠানো একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপি ও তার অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলো শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছে।

সেই কর্মসূচিতে আসা দুজন স্কুলছাত্রের চুল কেটে দিয়ে খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রজাতন্ত্রের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এ ধরনের ন্যক্কারজনক কাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনা জেলার কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো ছাত্রের চুল কেটে দেয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল, বিষয়টি মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়।’

তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে আমাদের সংস্থা তাদের পাশে থাকবে এবং সব ধরনের আইনি সহায়তা করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর