বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাস্তা নির্মাণে শ্রমিকের বদলে ভেকু মেশিনে ক্ষোভ 

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১০ মার্চ, ২০২২ ০৯:২৭

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, ‘যেকোনো প্রকল্পের একটি নিজস্ব নিয়মনীতি রয়েছে। সেই নিয়মের মধ্যে সেটি হতে হবে। বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হলাম। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সাতক্ষীরায় একটি রাস্তা নির্মাণে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির (কাবিখা) আওতায় শ্রমিকদের ব্যবহারের কথা থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে মাটিকাটার এক্সকাভেটর মেশিন (ভেকু মেশিন)।

সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নের খলিলনগর গ্রামের এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

তারা জানান, গত কয়েক দিন ধরে নিয়মবহির্ভূতভাবে এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে রাস্তা সংস্কার করে চলেছেন প্রকল্পটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মেহেদী হাসান দোলন।

স্থানীয়রা বলছেন, শ্রমিকের কাজ মেশিনে করিয়ে লাভবান হচ্ছেন প্রকল্প সভাপতি। আর এলাকার শ্রমজীবী মানুষ হচ্ছে বঞ্চিত।

ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে কাবিখা কর্মসূচির আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্পে বৈকারীর খলিলনগর গ্রামের আবদার গাজীর বাড়ি থেকে ময়না ডাক্তারের ঘের পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কাজে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

রাস্তা সংস্কারে শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অধিক লাভের আশায় এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে রাস্তা সংস্কারের কাজ করাচ্ছেন। ফলে দুর্ভোগ ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক, শ্রমিকসহ হতদরিদ্ররা।

খলিলনগর গ্রামের মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। কামলা খেটে খাই। মেশিন দিয়ে মাটি কাটলে তো আমাদের পেটে লাথি পড়ে।’

একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বছরের এই সময়ে মানুষের কাজকাম কম থাকে। এতে বিপাকে পড়ে গরিব মানুষ। প্রকল্পটির সভাপতি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মেশিন দিয়ে মাটি কেটে রাস্তা সংস্কার করছেন।’

তিনি আরও বলেন, রাস্তার ধার থেকে মেশিন দিয়ে গভীর করে মাটি খনন করায় রাস্তা ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া জমির মালিকও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ও প্রকল্পটির সভাপতি মেহেদী হাসান দোলন বলেন, ‘এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে কম খরচে বেশি মাটি কাটা যায় বলে এমনটা করা হয়েছে।’

বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মনোতোজ সাধু বলেন, ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কর্মসূচিতে এক্সকাভেটর মেশিন ব্যবহারের কোনো নিয়ম নেই। আমি যতদূর জানি ওই প্রকল্পটি স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে করানোর কথা। তবে কীভাবে মেশিন দিয়ে করানো হচ্ছে, সেটা আমার বোধগম্য নয়।’ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, ‘যেকোনো প্রকল্পের একটি নিজস্ব নিয়মনীতি রয়েছে। সেই নিয়মের মধ্যে সেটি হতে হবে। বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হলাম। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর