জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন প্রতি বছর ঢাকায় পালন করা হলেও প্রথমবারের মতো ভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এবারের জাতির পিতার জন্মদিনের সব কর্মসূচি তার জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় করার ঘোষণা হয়েছে।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
ধানমন্ডিতে বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শিরোনামে সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
যেসব কর্মসূচি রয়েছে
১৭ মার্চ সকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন। সেখানে তারা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা অর্পণ করবেন। সেদিন একটি শিশু-কিশোর সমাবেশ হবে। ওই দিন বিকেলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে এবং স্বাধীনতা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেবেন বলে জানিয়েছেন শেখ সেলিম। আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের কিছু অতিথি ও বুদ্ধিজীবী উপস্থিত থাকতে পারেন।
পরদিন ১৮ মার্চ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে টুঙ্গিপাড়ায় আরেকটি আলোচনা সভা হবে। তবে সেখানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন না। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সভায় অংশ নেবেন এবং বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং স্বাধীনতার বিভিন্ন বিষয় সেখানে তুলে ধরা হবে।
শেখ সেলিম জানান, প্রয়োজন হলে কোনো বুদ্ধিজীবীকেও নেয়া হতে পারে। তবে ১৮ মার্চ শবেবরাত হওয়ায় সব অনুষ্ঠান সন্ধ্যার আগেই শেষ করা হবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে ১৯ মার্চ ছাত্রলীগ, ২০ মার্চ শ্রমিক লীগ, ২১ মার্চ কৃষক লীগ, ২২ মার্চ যুবলীগ, ২৩ মার্চ যুব মহিলা আওয়ামী লীগ, ২৪ মার্চ মহিলা আওয়ামী লীগ এবং ২৫ মার্চ স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা হবে।
এ ছাড়া ১৯ থেকে ২৫ মার্চ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। লোকজ মেলা হবে ১৯ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত।
২৫ মার্চ সব আয়োজন শেষ করে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করবে আওয়ামী লীগ।
এ ছাড়া ১৭ মার্চ সকালে ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এবং সারা দেশের সব কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করা হবে। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকায় ধানমন্ডি-৩২-এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে আওয়ামী লীগ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশসহ অনেকে।