সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হওয়ার পর দুই বোনের যেকোন একজন সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কথা চলে, এক পর্যায়ে ডেকে আনা হয় বাসায়। টার্গেট ব্যক্তি বাসায় আসার পর সহযোগীদের মাধ্যমে তাকে আটকে রাখা হয়। মারধর করে চাওয়া হয় মুক্তিপণ।
একই কায়দায় মঙ্গলবার এক ব্যক্তিকে আটক করে মুক্তিপণ আদায় করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন লিপি বেগম ও সীমা বেগম নামে দুই বোন।
দুই বোনের বাড়ি লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায়। ভাড়া বাসা নিয়ে তারা থাকতেন আশুলিয়ায়।
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার জানান, মঙ্গলবার দুপুরে একজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, তার বন্ধু এক বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার জন্য ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় গিয়েছিলেন। এরপর তার বন্ধুর মোবাইল ফোন থেকে তাকে কল করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। টাকা পাঠানোর জন্য একটি বিকাশ নম্বরও দেয়া হয়েছে। টাকা না পাঠালে তার বন্ধুকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে।
বন্ধুটির বরাত দিয়ে আনোয়ার আরও জানান, অপহরণকারীরা যখন ফোন করেছিলেন তখন তার বন্ধুকে মারধরের শব্দ শোনা গেছে।
তবে আটক হওয়ার আগে তার বন্ধু হোয়াটসঅ্যাপে তার অবস্থানের গুগল ম্যাপ লোকেশন কলারকে পাঠিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী কলার জানান, তার বন্ধু আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইল ন্যাশনাল ব্যাংকের পেছনের একটি ভবনে আটক আছেন।
৯৯৯-এর কলটেকার কনস্টেবল মো. রেজোয়ান মিয়া কলটি রিসিভ করেছিলেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি জানান।
সংবাদ পেয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান।
আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক শ্যামলেন্দু ঘোষ নিউজবাংলাকে জানান, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকে রাখার বাড়িটি চিহ্নিত করেন। এরপর বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।
আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে লিপি ও সীমাকে আটক করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যান বলে জানান তিনি।
শ্যামলেন্দু আরও জানান, দুই বোনের মধ্যে লিপিই সব পরিকল্পনা করেন। তার নির্দেশনাতেই অন্যরা কাজ করেন। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন রয়েছেন।
চক্রটির অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।