বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মৈত্রী-বন্ধন-মিতালী এক্সপ্রেস চালু করতে ভারতকে চিঠি

  •    
  • ৯ মার্চ, ২০২২ ১৯:০১

রেলওয়ের মহাপরিচালক (অপারেশনস) সরদার শাহাদাত আলি বলেন, ‘গত সপ্তাহে যাত্রীচাপ ও করোনা নিয়ন্ত্রণের কথা উল্লেখ করে ভারতীয় রেলওয়েকে আমরা চিঠি দিয়েছি। চিঠিতে ঢাকা থেকে কলকাতা রুটে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস, খুলনা থেকে কলকাতা চলাচলকারী বন্ধন এক্সপ্রেস ও ঢাকা থেকে জলপাইগুড়ি চলাচল করতে যাওয়া মিতালী এক্সপ্রেস চালুর কথা বলা হয়েছে।’

করোনা মহামারির প্রকোপ কমে আসায় এবং দেশে করোনার টিকা দেয়ার মাত্রা উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে পৌঁছায় এখন ভারতের সঙ্গে স্বাভাবিক চলাচল শুরু করতে চায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। দুই দেশের মধ্যে মালবাহী ট্রেন চালু থাকলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন ও মিতালী এক্সপ্রেস পুরোদমে চালুর কথা ভাবছে তারা।

যাত্রীদের কথা চিন্তা করে রেল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান রেলওয়েকে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

রেলওয়ের মহাপরিচালক (অপারেশনস) সরদার শাহাদাত আলি নিউজবাংলার কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে যাত্রীচাপ ও করোনা নিয়ন্ত্রণের কথা উল্লেখ করে ভারতীয় রেলওয়েকে আমরা চিঠি দিয়েছি। চিঠিতে ঢাকা থেকে কলকাতা রুটে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস, খুলনা থেকে কলকাতা চলাচলকারী বন্ধন এক্সপ্রেস ও ঢাকা থেকে জলপাইগুড়ি চলাচল করতে যাওয়া মিতালী এক্সপ্রেস চালুর কথা বলা হয়েছে।

‘আমরা তিনটি যাত্রীবাহী সেবা চালুর কথাই তাদের লিখেছি। প্রাথমিকভাবে তারা মৌখিক সম্মতি জানিয়েছে। তবে চিঠির উত্তর এখনও আসেনি। তবে সম্ভবত তারা রাজি হবে এবং দ্রুতই দুই দেশের জনপ্রিয় এই গুরুত্বপূর্ণ সেবা চালু হবে।’

রেলওয়ে সূত্র জানায়, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের যাত্রীবাহী রেল যোগাযোগ। বন্ধ আছে সাধারণ যোগাযোগ ও ভিসা আদান-প্রদানও। কেবল ব্যবসা, শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে দুই দেশে জরুরি ভিত্তিতে নাগরিকদের চলাচল রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আগরতলা ও যশোরের বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর এবং আকাশপথ খোলা রয়েছে।

একসময় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের আটটি রেললাইন সংযোগ ছিল। স্বাধীনতার আগেই এসব লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়। দুই দেশের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন্ধ থাকা লাইনগুলো চালুর উদ্যোগ নেয় দুই দেশের সরকার।

প্রথমে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হয় ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল। ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু ও লালন সেতু হয়ে দর্শনা-গেদে রুটে এই ট্রেন চলাচল করে সপ্তাহে পাঁচ দিন। এরই ধারাবাহিকতায় বেনাপোল-পেট্রাপোল, চিলাহাটি-হলদিবাড়ি, বিরল-রাধিকাপুর, রোহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুটে ট্রেন যোগাযোগ চালু করা হয়।

বর্তমানে চালু থাকা পাঁচটি রুটের মধ্যে বেনাপোল-পেট্রাপোল, দর্শনা-গেদে রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। একই সঙ্গে চালু পাঁচটি রুট দিয়ে মালবাহী ও পার্সেল ট্রেনও চলাচল করছে। গত বছরের ২৬ মার্চ চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ চলাচল করে।

২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর খুলনা-কলকাতা বন্ধন ট্রেন চালু হয়। বেনাপোল-পেট্রাপোল রুটে সপ্তাহে দুদিন চলাচল করে। ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ওই দিন মালবাহী ট্রেন চালুর মধ্য দিয়ে রুটটি উদ্বোধন করেন। এ রুটে পরের বছরের ২৬ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেনও পরীক্ষামূলক চলাচল করে।

আখাউড়া-আগরতলা ও শাহবাজপুর-মহিষাসন রুট নির্মাণে উভয় দেশ দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে। ইতোমধ্যে এ দুই প্রকল্পে ৫০ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর