দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও বিএনপির বড় বড় কিছু ব্যবসায়ী জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সরকার এই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
ঠাকুরগাঁও বিডি হলে বুধবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
দ্রব্যমূল্য বাড়ার পেছনে করোনা এবং সাম্প্রতিক রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ আছে বলেও মনে করেন মন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল আর রিজভী সাহেব শুধু দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকেন। সে জন্য তারা নানা উদভ্রান্তের মতো কথা বলেন।’
তথ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও বিএনপির বড় বড় কিছু ব্যবসায়ী জড়িত রয়েছেন। মির্জা আলমগীরের চক্রান্তে যেসব ব্যবসায়ী আছেন, সেসব কিছু ব্যবসায়ী পরিস্থিতির সুযোগ নেন।’ সেসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি কয়েকটি কারণে নির্বাচনকে ভয় পায়। প্রথমত তাদের জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির কারণে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া দুজনেই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, এ কারণে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। সেজন্য বিএনপির নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই।
‘আমরা মন্ত্রীরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে জনগণের কথা শুনতেছি। বিএনপি সব বিষয় নিয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়াতেই ব্যস্ত রয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহা. সাদেক কুরাইশীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এমপি রমেশ চন্দ্র সেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও জেলার স্থানীয় নেতারা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়।