রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক যুবকের হাতের কবজি কেটে নেয়ার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হুমায়ুন শেখ ও ফরহাদ শেখ। তাদের বাড়ি উপজেলার উত্তর দৌলতদিয়া শামসুল মাস্টার পাড়ায়। এর মধ্যে হুমায়ুনকে কুষ্টিয়া থেকে ও ফরহাদকে ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা শফিকুল জানান, হুমায়ুন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় কিশোর গ্যাং চালাতেন। তার বিরুদ্ধে মাদক কারবার, চুরি ও ছিনতাইসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ আছে। বছর তিনেক আগে নারী ও শিশু নির্যাতনের একটি মামলায় ১৪ দিন কারাভোগও করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দেয়া হুমায়ুনের বক্তব্যের বরাতে শফিকুল জানান, তার সঙ্গে পাশের এলাকার একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রিয়াজের কারণে ওই মেয়ের সঙ্গে তার মনোমালিন্য হয়। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে দৌলতদিয়া রেলস্টেশন এলাকায় রিয়াজের ওপর হামলা চালান তিনি ও তার বন্ধু ফরহাদ।
রেলস্টেশন এলাকায় রোববার সন্ধ্যায় এই হামলা হয়।
হামলার শিকার রিয়াজ শেখ। ছবি: নিউজবাংলা
হামলার শিকার রিয়াজ শেখ দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সোরাপ মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা।
গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার স্থানীয়দের বরাতে জানান,
রিয়াজ সন্ধ্যার দিকে দৌলতদিয়া রেলস্টেশন এলাকায় যান কোনো কাজে। সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে ছিলেন হুমায়ুন। রিয়াজ পৌঁছানোমাত্রই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় কোপ দিতে যান হুমায়ুন। মাথা বাঁচাতে গেলে কাটা পড়ে তার বাঁ হাতের কবজি।
স্থানীয়রা রিয়াজকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে গেলে চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে তাকে পাঠানো হয় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাজবাড়ী রেলওয়ে থানায় মামলা করেন রিয়াজের মা ফিরোজা খাতুন। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় আসামিদের।