বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পতন ঠেকানোর দুই পদক্ষেপে ফিরল প্রাণ

  •    
  • ৯ মার্চ, ২০২২ ১৫:০১

উত্থানের এই দিনে বেড়েছে ৩৬৫টি কোম্পানির শেয়ারদর। এর মধ্যে ১৪টি কোম্পানির দর দিনের দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে। সার্কিট ব্রেকারের প্রায় কাছাকাছি বেড়েছে আরও চারটির দর। আরও ১৬টি কোম্পানির দর ৮ শতাংশের বেশি, ১৭টির দর ৭ শতাংশের বেশি, ২২টির দর ৬ শতাংশের বেশি, ২৩টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ৪৯টির দর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি।

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা জরুরি ভিত্তিতে বিনিয়োগ আর এক দিনে শেয়ারের সর্বোচ্চ দরপতনের সীমা ১০ শতাংশ থেকে ২ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রভাবে পতনমুখী পুঁজিবাজারে বড় উত্থান দেখল বিনিয়োগকারীরা।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার দিন থেকে আট কর্মদিবসে ৩৮২ পয়েন্ট সূচকের পতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক জেঁকে বসে।

মঙ্গলবার লেনদেনের এক ঘণ্টায় সূচক ১৩০ পয়েন্টেরও বেশি হারিয়ে ফেলার পর হতাশা আরও গাঢ় হয়। এর মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে জরুরি ভিত্তিতে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের নির্দেশ দেয়।

এই খবরে তলানি থেকে উঠে এসে দিন শেষ হয় ১৭ পয়েন্ট বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে। এই উত্থান এমন কোনো বড় কিছু না হলেও পরিস্থিতির কারণে সেটি বিনিয়োগকারীদের চিড় ধরানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

লেনদেন শেষে বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে এসে ঘোষণা দেন, এক দিনে কোনো শেয়ারের দর ২ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। তবে বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা আগের মতোই থাকবে ১০ শতাংশ।

বুধবার লেনদেন শুরুই হয় ৫৭ পয়েন্ট যোগ হওয়ার মধ্য দিয়ে। বেলা ১০টা ৪০ মিনিটে বাড়ে ১১৩ পয়েন্ট। এরপর পৌনে এক ঘণ্টা কিছুটা কমলেও পরে সময় যত গড়িয়েছে, শেয়ারগুলো তত হারানো দর ফিরে পেতে থাকে।

লেনদেন শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৭৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর শেষ কয়েক মিনিটের সমন্বয়ে শেষ পর্যন্ত উত্থান হয় ১৫৫ পয়েন্ট।

উত্থানের এই দিনে বেড়েছে ৩৬৫টি কোম্পানির শেয়ারদর। এর মধ্যে ১৪টি কোম্পানির দর দিনের দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে। সার্কিট ব্রেকারের প্রায় কাছাকাছি বেড়েছে আরও চারটির দর।

বুধবার পুঁজিবাজারের এই উত্থান বিনিয়োগকারীদের চিড় ধরা মনোবল কিছুটা হলেও চাঙা করবে

আরও ১৬টি কোম্পানির দর ৮ শতাংশের বেশি, ১৭টির দর ৭ শতাংশের বেশি, ২২টির দর ৬ শতাংশের বেশি, ২৩টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ৪৯টির দর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি।

কেবল দুটি কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১.৯৮ শতাংশ দর হারিয়েছে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল। আর লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা ব্র্যাক ব্যাংক দর হারিয়েছে ০.৬১ শতাংশ।

এই তালিকার শীর্ষে আইডিএলসির নাম থাকলেও কোম্পানির দর কমেছে আসলে তার লভ্যাংশসংক্রান্ত সমন্বয়ের জন্য। সেই সমন্বয় হিসাব করলে আসলে দেখা যায়, সেটিরও দর বেড়েছে।

কোম্পানিটি এবার বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ারপ্রতি দেড় টাকা নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে।

রেকর্ড ডেটে শেয়ারদর ছিল ৫৩ টাকা ৩০ পয়সা। ৫ শতাংশ বোনাস সমন্বয় করলে দাম দাঁড়ায় ৫১ টাকা ৭০ পয়সা। দিন শেষে এই দরই ছিল শেয়ারের। সঙ্গে শেয়ারপ্রতি দেড় টাকা মুনাফা হিসেবে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

গতি ফেরেনি লেনদেনে

সূচক ব্যাপকভাবে বাড়লেও লেনদেন তলানিতেই রয়েছে। ৭৭৩ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৭৪৬ কোটি ৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এ নিয়ে টানা নয় দিন লেনদেন হলো এক হাজার কোটি টাকার নিতে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাপক দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের টাকা আটকে গেছে। তিন দিন আগে যারা শেয়ার কিনেছিলেন, তাদের মধ্যে আজ যাদের মুনাফা হয়েছে, তারাই দাম বাড়ার ‍সুযোগ নিয়েছেন। ফলে বাড়তি দামেও বিক্রেতা ছিল কম।

সূচক বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকায় যেসব কোম্পানি

প্রায় সব কোম্পানির দর বেড়েছে, এমন দিনে একক কোম্পানি হিসেবে সূচক সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করেছে ওয়ালটন। শেয়ারদর ৫.১৮ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২৪.৯৫ পয়েন্ট।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮.৩৮ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণফোন, যার শেয়ারদর বেড়েছে ১.৩ শতাংশ।

আরেক বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবানোর শেয়ারদর ১.২৫ শতাংশ বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ৫.৮ পয়েন্ট।

এছাড়া বার্জার পেইন্টস ৫.৫৮ পয়েন্ট, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট ৫.২৮ পয়েন্ট, রেনাটা ৪.৬৪ পয়েন্ট, স্কয়ার ফার্মা ৪.১৬ পয়েন্ট, বেক্সিমকো লিমিটেড ২.৬৫ পয়েন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ার ২.৬৩ পয়েন্ট ও বরির কারণে ২.৩৮ পয়েন্ট সূচক বেড়েছে।

দাম বৃদ্ধির শীর্ষ দশের সবগুলোই সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়েছে

বেশ কয়েকদিন ধরে এই বিষয়টি দেখা গেল পুঁজিবাজারে। এই ১০ কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাধারণ বিমা খাতের।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে লোকসানি কোম্পানি মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের দর। মঙ্গলবার দাম ছিল ২৭ টাকা, সেখান থেকে ২ টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ২৯ টাকা ৭০ পয়সা।

পরের ৯টি কোম্পানির দরও বেড়েছে এর কাছাকাছি। এর মধ্যে আরেক লোকসানি সাফার রিফ্রাকটরিজের দর বেড়েছে ৯.৯৭ শতাংশ। শেয়ারদর ১৯৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১৩ টাকা ৯০ পয়সা।

এছাড়া বিমা খাতের চার কোম্পানি ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের দর ৯.৯৬ শতাংশ, নিটোল ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৯.৯৫ শতাংশ, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের দর ৯.৯৩ শতাংশ, বিএনআইসিএলের দর ৯.৯০ শতাংশ বেড়েছে।

এছাড়া বিচ হ্যাচারিজের দর ৯.৯১ শতাংশ, বিডিথাই ফুডের দর ৯.৮৮ শতাংশ, বিডিকমের দর ৯.৮৫ শতাংশ এবং ইমাম বাটনের দর ৯.৮১ শতাংশ বেড়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর