বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমার ছেলের লাশ কোথায়: হাদিসুরের বাবা

  •    
  • ৯ মার্চ, ২০২২ ১৪:১০

হাদিসুরের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, ‘আমার ছেলের লাশ কোথায় আছে জানি না। একবার শুনি রোমানিয়া, একবার শুনি ইউক্রেন। শুনছি রোমানিয়াতে জানাজা হইছে। সঠিক খবর জানি না।’

ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ২৮ জন নাবিক-ক্রু দেশে ফিরলেও ফেরত আসেনি নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ।

জীবিত নাবিক-ক্রুদের সঙ্গে সন্তানের মরদেহ আসবে এই আশায় বরগুনার বেতাগী থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছেন হাদিসুরের বাবা-মা, ভাই ও স্বজনরা।

বিমানবন্দরে এসে জানতে পেরেছেন তাদের সন্তানের মরদেহ আসেনি।

হাদিসুরের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ছেলের লাশ কোথায় আছে জানি না। একবার শুনি রোমানিয়া, একবার শুনি ইউক্রেন। শুনছি রোমানিয়াতে জানাজা হইছে। সঠিক খবর জানি না।’

ছেলের লাশ আসবে এই আশায় বিমানবন্দর এসেছেন হাদিসুরের মা রাশিদা বেগমও। তিনি বলেন, ‘শুনছিলাম আজকে আসবে, আইসা শুনি আসে নাই।’

ভাইয়ের লাশ আসবে না শুনে গড়াগড়ি দিয়ে চিৎকার করে বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে কাঁদছিলেন হাদিসুরের ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স।

চিৎকার করে বলছিলেন, ‘আমার ভাই কই, আমার ভাই আসে না কেন, আমার ভাই কবে আইব, আমার ভাইরে আইনা দাও।’

ছেলের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার আকুতি জানিয়েছেন হাদিসুরের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘সরকার আমার ছেলের লাশটা আইনা দিক। আর কোনো চাওয়া নাই। লাশটা একবার দেখতে চাই।’

হাদিসুরের মরদেহ ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ ও সিআইএস অনুবিভাগের মহাপরিচালক শিকদার বদিরুজ্জামান বলেন, ‘হাদিসুরের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। তার দেহাবশেষ অতিসত্বর দেশে নিয়ে আসব।

‘হাদিসুরের মরদেহ কত দিনের মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব হবে তা টাইম ফ্রেমে বলা মুশকিল। কারণ আপনারা বুঝতে পারছেন, ইউক্রেনে এখন একটি যুদ্ধ চলছে। সেখানে কেউ প্রবেশ করতে পারছে না, আমাদের আন্তরিকতা শতভাগ রয়েছে।’

ক্ষতিপূরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক দায়িত্ব ছিল এই ২৮ জনকে উদ্ধার করা, তারপর আমাদের যা করণীয় থাকবে তার সবই করব।’

‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজটি ২১ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের বন্দর এরেগলি ছেড়ে যায়। সেটি ২৩ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বন্দর অলিভিয়ায় পৌঁছে।

ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করে। রাশিয়ার সামরিক অভিযানে ইউক্রেনে পরিস্থিতির অবনতি হলে শিপিং করপোরেশনের নির্দেশে পণ্য লোড করার পরিকল্পনা বাতিল করে সেখানেই জাহাজটিকে অবস্থান করছিল।

পরে ২ মার্চ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৫ মিনিটে যুদ্ধবিমান থেকে রকেট হামলায় জাহাজের ডেকে আগুন ধরে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন জাহাজের ক্রু ও নাবিকরা। ওই হামলায় নিহত হন জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান।

এ বিভাগের আরো খবর