একজন শিক্ষক হয়েও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে এত মিথ্যাচার করতে পারেন তা জানা ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
হানিফ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একজন শিক্ষক। একজন শিক্ষক যে এত মিথ্যাচার করতে পারে তা আমাদের জানা ছিল না। সম্প্রতি বেগম খালেদা জিয়াকে তিনি মাদার অফ হিউম্যানিটি উপাধি দিলেন।
‘পরে দেখা গেল সেটি লন্ডনপ্রবাসী বিএনপি নেতার পাঠানো ক্রেস্ট। এতেই বোঝা যায়, তিনি মিথ্যাচারে পৃথিবীকে ছাড়িয়ে গেছেন।’
কক্সবাজারের একটি মোটেলে আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি এসব বলেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির মিডিয়া উইং থেকে জানানো হয়, কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা দিয়েছে।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল এটি খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দেন।
এই প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘মানবতার মা নয়, হত্যাকারী ও খুনিদের মা হতে পারেন খালেদা জিয়া। তাকে মিথ্যাচারের মাধ্যমে যে উপাধি দেয়া হচ্ছে তা সম্পূর্ণ বিএনপি নেতা-কর্মীদের রটানো।
‘বিএনপির একমাত্র ভরসা এখন মিথ্যাচার। তাদের মিথ্যাচার থেকে জনগণকে বাঁচাতে হবে। নাহলে মিথ্যাচারের মাধ্যমে তারা দেশটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে। তাই আওয়ামী লীগকে সজাগ থাকতে হবে।’
তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ক্ষমতায় থাকলে জনগণ খুশি। তৃণমূল যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে এই বাংলায় আওয়ামী লীগকে দমানোর কেউ নেই। আপনারা ঐক্যবদ্ধ হোন। আমরা আপনাদের পাশে থাকব।’
তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল আলম চৌধুরী এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।
এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমসহ নয় উপজেলার প্রায় ৩ হাজার নেতা-কর্মী।