বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাগাড়ে ঢাকা গোমতীর পাড়

  •    
  • ৯ মার্চ, ২০২২ ১৫:৫৩

রিকশাচালক শফিক মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন সহালে আর রাইতে গাড়ি দিয়ে মইলা হালাইয়া (ফেলে) যায়। কেউ কিচ্চু কয় না। আমডা (আমরা) দেইখাও কিছু কইতাম পারি না। আমডা হইলাম রিশকাওয়ালা। কিছু কইতে গেলে মারতে আইব।’

গোমতীর পাড় ঢেকে আছে ময়লায়। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরা। সেই ময়লায় আবার দেয়া হয় আগুন। ময়লার গন্ধের সঙ্গে ধোঁয়ায় আরও অসহনীয় হয়ে উঠেছে স্থানীয়দের অবস্থা।

এ অবস্থা কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার শাসনগাছা-বুড়িচং সড়কে পালপাড়া ব্রিজের পাশে গোমতীর পাড়।

ব্রিজের গোড়ায় স্তূপ করে রাখা হয় ময়লা। ময়লা ছড়িয়ে পড়ছে নদী ও চরে। স্তূপ কমাতে দেয়া আগুনের কারণে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওই এলাকায় ছড়াতে থাকে ধোঁয়া। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নাকে রুমাল চেপেও রেহাই পাওয়া যায় না দুর্গন্ধ ও ধোঁয়া থেকে।

শাসনগাছা-বুড়িচং সড়কে নিয়মিত সাইক্লিং করেন মাহমুদুল হাসান ইফাজ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গোমতীর পাড়ে এমন ভাগাড় কীভাবে করে তা আমার বোধগম্য নয়। আমাদের দিন শুরু হয় এই দুর্গন্ধ আর ধোঁয়া দিয়ে। এলাকার সবাই এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে চাই।’

রিকশাচালক শফিক মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন সহালে আর রাইতে গাড়ি দিয়ে মইলা হালাইয়া (ফেলে) যায়। কেউ কিচ্চু কয় না। আমডা (আমরা) দেইখাও কিছু কইতাম পারি না। আমডা হইলাম রিশকাওয়ালা। কিছু কইতে গেলে মারতে আইব।’

স্থানীয়রা জানান, এক বছর ধরে গোমতীর পাড়ে ময়লা ফেলা শুরু হয়েছে। কুমিল্লা নগরীর ময়লা-আবর্জনা এখানে ফেলা হয়। আশপাশের ময়লাও এখানে এনে ফেলে।

এসব ময়লার কারণে নদীর পানি দূষিত হওয়াতেও বিপাকে পড়েছে স্থানীয়রা। এই নদীতে গোসলসহ দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ করেন আড়াইওড়া এলাকার নমঃশূদ্র পাড়ার হাজারো মানুষ। এলাকায় টিউবওয়েল না থাকায় গোমতী নদীর পানিই তাদের ভরসা।

তবে এক বছর ধরে নদীর পাড়ে ময়লা ফেলায় বাধ্য হয়ে তাদের নোংরা পানিই ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাদের দাবি, দ্রুত যেন নদীর পাড়ের ময়লা সরানো হয়।

আদর্শ সদর উপজেলায় প্রশাসনের নির্ধারিত ময়লা ফেলার জায়গা অরণ্যপুরে। সেটি গোমতীর পাড়ের ভাগাড় থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে। গোমতীর এই পাড়ের আশপাশের পরিচ্ছন্নকর্মীরা সেখানে আর না গিয়ে রাতে নদীর পাড়েই ময়লা রেখে যান।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী শফিকুল ইসলাম জানান, ময়লাগুলো যদি সিটি করপোরেশনের কোনো গাড়ি ফেলে এবং এর প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সিটি করপোরেশনও চায় না জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেউ ময়লা ফেলুক। ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা আছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল বলেন, ‘এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের চাওয়া সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ যেন এখানে ময়লা না ফেলে জনবসতি থেকে দূরে ময়লা ফেলার জায়গা নির্দিষ্ট করে।’

আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া আফরিন জানান, বিষয়টি তার জানা ছিল না। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর