স্বামী ছিলেন গ্রাম পুলিশ। দায়িত্ব পালনের সময় ২০০৬ সালের ডিসেম্বরের এক রাতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিনি নিহত হন। দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে সেই থেকে শুরু জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের সাজেদা বেগমের জীবনযুদ্ধ।
সাজেদা এখন গ্রাম পুলিশ সদস্য। চাকরির উপার্জন দিয়ে দুই মেয়েকে তিনি লেখাপড়া করান। মেয়েদের একজন এখন চিকিৎসক আরেকজন রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছেন।
মেয়েদের নিয়ে সাজেদার সাহসী সংগ্রামের স্বীকৃতি দিয়েছে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন বিকেলে তার হাতে ক্রেস্ট ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুম আহম্মদ ভূঞা।
এসপি বলেন, ‘ক্ষেতলালের ফাঁসিতলা এলাকায় ২০০৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাত্রীকালীন ডিউটি পালনের সময় গ্রাম পুলিশ সদস্য আব্দুল জলিল সরদারকে দুর্বৃত্তরা জবাই করে হত্যা করে। জলিল সরদারের মৃত্যুতে তার স্ত্রী সাজেদা বেগম দুই মেয়ে মুর্শিদা পারভিন জলি ও খুরশিদা পারভিন পলিকে নিয়ে মহাবিপদে পড়েন।
‘পরে ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন সাজেদা। এই গ্রাম পুলিশের চাকরির বেতন দিয়ে দুই মেয়েকে ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করান। সেই কারণে জীবনযুদ্ধে জয়ী এই নারী গ্রাম পুলিশ সদস্য সাজেদা বেগমকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।’
এসপি জানান, সরকার নারীশিক্ষা ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী; এই নারীদের উন্নতি ছাড়া সত্যিকারের উন্নয়ন সম্ভব নয়।