চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে খাবারের প্যাকেট না পেয়ে এক কর্মচারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী হল ডাইনিংয়ে বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগের অভিযুক্ত তিন কর্মী হলেন, ইংরেজি বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের সাদ্দাম হোসেন, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের মোখলেছ এবং লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের মোর্শেদ। তারা চবি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মী হিসেবে পরিচিত।
ডাইনিংয়ের অন্য কর্মচারীরা জানান, মারধরের শিকার ডাইনিং কর্মচারীর নাম আবুল হোসেন। দুপুরে দর্শন বিভাগের র্যাগ ডে উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী হল ডাইনিংয়ে দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়। খাবার নেয়ার সময় অতিরিক্ত কয়েক প্যাকেট চান ওই তিন কর্মী। আবুল হোসেন খাবার না দেয়ায় কথা-কাটাকাটি একপর্যায়ে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
অভিযোগকারী আবুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিনজনের মধ্যে সাদ্দাম হোসেন আমার কাছে পাঁচ প্যাকেট খাবার চান। এ সময় অপারগতা প্রকাশ করলে তারা আমার কাছে টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে তারা তিনজন আমাকে মারধর করেন। আমি মাথা, চোখ ও পেটে আঘাত পেয়েছি।’আবুল হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সেন্টারের চিকিৎসক টিপু সুলতান বলেন, ‘একজন কর্মচারী চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তার মাথায় জখম ছিল। চোখ ও পেটেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আবুল হোসেনের আচরণগত সমস্যা আছে। সে ছাত্রদের সঙ্গে প্রায়ই বেয়াদবি করে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এমন আচরণ একজন কর্মচারী থেকে আশা করি না। এ জন্য রেগে গিয়ে আমার জুনিয়র কথা বলতে গেলে হালকা হাতাহাতি হয়।’
চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি, আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। কর্মচারী মারধরে জড়িত কেউ ছাত্রলীগের হলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমি খোঁজ নিচ্ছি।’
প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুইয়া বলেন, ‘কর্মচারীকে আঘাতের বিষয়টি আমরা জেনেছি। এ ব্যাপারে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’