ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মাহবুব মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ময়মনসিংহ মুখ্য বিচারিক ৪ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক রাজিব আহমেদ তালুকদার মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ মাহবুবের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে তুলেছে। বিচারক বুধবার শুনানির দিন ঠিক করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।’
সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের কাজিরবলসা এলাকায় দুই শিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত চার বছরের সাইমা আক্তার ও সাত বছরের তৃপ্তি আক্তার সম্পর্কে খালাতো বোন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল কাদির মিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় সোমবার রাতে মাহবুবকে আসামি করে থানায় মামলা করেন নিহত তৃপ্তির বাবা শিবলু মিয়া। গ্রেপ্তারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল।’
খুন হওয়া সাইমা নেত্রকোণার বারহাট্টার বড়ইতাতি গ্রামের রাজিবের মেয়ে। আর তৃপ্তি নান্দাইলের কাদিরপুর গ্রামের শিবলু মিয়ার মেয়ে।
সায়মার মা সালমা আক্তার ও তৃপ্তির মা হালিমা আক্তার আপন দুই বোন। তারা উচাখিলা ইউনিয়নের কাজীরবলসা গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে। আর অভিযুক্ত মাহবুব মিয়া সালমা ও হালিমার আপন ভাই।
মরদেহ উদ্ধারের পর স্থানীয়দের বরাতে ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম জানান, মাহবুব একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। বেশ কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন তিনি।
সপ্তাহখানেক আগে শিশুদের নিয়ে তাদের মায়েরা বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সোমবার দুপুরে দুই ভাগনিকে দা দিয়ে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় আরেক ভাগনেকেও দা দিয়ে কোপান।
এ ঘটনার পরপরই ওই এলাকা থেকে মাহবুবকে আটক করে পুলিশ।