ডিলার ও পাইকারি পর্যায়ে পাকা রসিদ ছাড়া কোনো পণ্য বেচাকেনা করা যাবে না। এর ব্যতিক্রম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বদলে ফেলা হবে বাজার তদারকির ধরনও।
মঙ্গলবার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনে ভোজ্যতেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর বৃহৎ পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
বৈঠকে তেলের মূল্যবৃদ্ধির জন্য মিল মালিকদের দোষারোপ করেন ব্যবসায়ীরা। সময়মতো মিল থেকে পণ্য না পাওয়ায় বাজারে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে, ফলে দাম বাড়ছে বলে দাবি তাদের।
বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে জানানো হয় আলোচনা সভায়। বৈশ্বিক দাম বৃদ্ধি এবং বাড়তি ভ্যাটের কারণে দেশে তেলজাত পণ্য বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে ব্যবসায়ী নেতারা জানান।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দিলেও, রিফাইনারি কোম্পানিগুলো তা মানে না। তাই বেশি দামে পণ্য বিক্রিতে বাধ্য হন তারা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘সরবরাহ ও জোগানে সেলস অর্ডার বা এসও বেচাকেনা হয়। এই কাগজ হাতবদলের ফলে গোড়া থেকেই তেলের দাম বাড়ে। অথচ এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।’
এএইচএম সফিকুজ্জামান জানান, পাকা রসিদ ব্যবহারের প্রচলন কম থাকায় সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। বেশির ভাগ নিত্যপণ্য বেচাকেনায় একই জটিলতা চলছে। শুক্রবার থেকে কোনো ডিলার, পাইকার, খুচরা ব্যবসায়ী পাকা রসিদ ছাড়া নিত্যপণ্য বেচাকেনা করলে কঠোর অবস্থানে যাবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
তিনি বলেন, ‘দেশে ভোজ্যতেলের দামের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর।’
সভায় পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনায় সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ সময় ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা জানান, মিলগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ সয়াবিনের সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণেই তেলের বাজার অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে।
তারা জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চলবে। তেলের দাম নিয়ে কারসাজি করলে, সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগ করবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।