৯ বছর বিএনপি-জামায়াত জোটের সরকারবিরোধী আন্দোলনের আগে রাজধানীর বাড্ডা থানায় করা নাশকতার মামলায় দলটির চার নেতা-কর্মীকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে রাজধানীর একটি আদালত। অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় ৩১ জনকে দেয়া হয়েছে বেকসুর খালাসের আদেশ।
মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্যমহানগর হাকিম হাসিবুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত চার জন হলেন বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর মোল্লা, ঈসমাইল হোসেন, আবু বক্কর সিদ্দিক ও মো. বাচ্চু।
দণ্ডবিধির ১৪৩ ও ৪২৭ ধারায় তাদেরকে ৬ মাস করে এবং ৩৫৩ ধারায় আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। সাজা একটির পর একটি কার্যকর হবে বলে দণ্ডের আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক।
এর ফলে তাদেরকে ২ বছর কারাভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম মনিরুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘দণ্ডিত চার আসামি জামিনে ছিলেন। তারা আদালতে না এসে সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন নাকচ করে রায় ঘোষণা করে আসামিদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।’
খালাস পাওয়া ৩১ আসামি হলেন-কামরুজ্জামান ওরফে স্বপন, আবদুল মান্নান, শরীফুল ইসলাম, দীপন কুমার দাস ওরফে টাইগার মেম্বার, হারুন অর রশিদ, রেফায়েত উল্লাহ ওরফে রেফতুল আলম, এমদাদুল হক এমদাদ, দেলোয়ার হোসেন, সাইফুল ইসলাম, আবদুল মতিন, সৈয়দ আসিফ, আফজাল, রুবেল হোসেন, আবুল হোসেন, আবিদ হোসেন তুষার, অলিউর রহমান দিপু, এ জি এম শাসসুল হক, বদরুজ্জামান, মেজবা উদ্দিন, কাজল দাস, মনু মিয়া, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাসুদ, নুরুল আমিন, জোনায়েত হোসেন, শাহজাহান মোল্লা, হারুন অর রশিদ, মতিউর রহমান, কামাল হোসেন ও মাজহারুল ইসলাম।
২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় পুলিশের ওপর ককটেল হামলার অভিযোগ এনে বাড্ডা থানায় মামলা করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। বিচার চলাকালে আদালত ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন বিচারক।