বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইন্টারনেটের গতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর আক্ষেপ

  •    
  • ৮ মার্চ, ২০২২ ১৭:৪৭

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের চিরাচরিত শিক্ষাক্রমকে উন্নত বিশ্বের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও উন্নত করা দরকার। এক্ষেত্রে ইউজিসি ভূমিকা রাখতে পারে।’

করোনা মহামারির সময়ে শিক্ষার্থীরা অনলাইন শিক্ষায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। একই সঙ্গে তিনি ইন্টারনেটের দুর্বল গতি নিয়েও আক্ষেপ জানিয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘দুর্বল ইন্টারনেটের গতি, ডিভাইসের স্বল্পতা এবং উচ্চমূল্যের ইন্টারনেট খরচের কারণে শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছে। অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশেরও একই ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এটি সত্য যে, এর দ্রুত সমাধান নেই।’

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিরেন) পাঁচ দিনব্যাপী এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাডভান্সড নেটওয়ার্কের (এপ্যান) ৫৩তম সভার উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সভায় বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। একই সঙ্গে দেশের শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য সত্যিকারের ‘ইন্ডাস্ট্রিয়া অ্যাকাডেমিয়া’ গঠন করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের চিরাচরিত শিক্ষাক্রমকে উন্নত বিশ্বের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও উন্নত করা দরকার। এক্ষেত্রে ইউজিসি ভূমিকা রাখতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নে বিশেষ করে উচ্চশিক্ষায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং উন্নত মানের গবেষণা কার্যক্রমকে কাজে লাগাতে না পারলে কোনো সেক্টরেই আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে আরও দক্ষ করে তুলতে হবে। সর্বোপরি, আমাদের আউটকাম বেইজড এডুকেশনের দিকে ঝুঁকতে হবে।’

শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস সহজলভ্য করতে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকমিউনিকেশন সেবা প্রতিষ্ঠান টেলিটকের সঙ্গে কথা বলে ডাটা খরচ কমিয়েছে। টেলিটকের মাধ্যমে বিডিরেনের প্ল্যাটফর্মে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস ফ্রি করা হয়েছে। অন্যান্য মোবাইল অপারেটররাও ত্রিশ শতাংশ কম খরচে ইন্টারনেট সেবা দিয়েছে। ইউজিসি শিক্ষার্থীদের ডিভাইস কেনার জন্য লোন দিয়েছে।’

অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করব আপনারা অনলাইন শিক্ষাকে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। আমরা বর্তমানে পাবলিক-প্রাইভেট যৌথ সহযোগিতার কথা ভাবছি।’

এসময় বেসরকারি উদ্যোক্তাদের গবেষণা কার্যক্রমে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘উচ্চশিক্ষায় নতুন জ্ঞান সৃষ্টির পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ মানুষদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন সকলের মধ্যে নেটওয়ার্কিং। এর মাধ্যমে নতুন যুগের চাহিদা অনুযায়ী মানবসম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব।’

অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় ঢাবি উপাচার্য আখতারুজ্জামান এদেশের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে বিডিরেনের ভূমিকার কথা তুলে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে তিনি এই সভার সাফল্য কামনা করেন।

সভার দ্বিতীয় সেশনে কি-নোট বক্তৃতা রাখেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত। এরপর প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও বিডিরেন ট্রাস্টের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরও মধ্যে বক্তব্য দেন এপ্যানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিলং ওয়াং।

এছাড়া স্বাগত বক্তব্য দেন বিডিরেনের ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজ বেগম।

এ বিভাগের আরো খবর