পঞ্চগড়ের সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক গোলাম আজম হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামিদের নামে মামলা হয়েছে। মামলা হওয়ার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পঞ্চগড় সদর থানায় রোববার রাত ১১টায় গোলাম আজমের বড় ছেলে বদিউজ্জামান লিমন মামলাটি করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভবেশ চন্দ্র পাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় বাড়িতে শোয়ার ঘর থেকে ৫৩ বছর বয়সী এ নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বন্যা আক্তার ও ছোট ছেলে বাঁধনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে নেয় পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ী গোলাম আজমকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
স্বজনরা জানান, গোলাম আযম পেশায় পাথর ব্যবসায়ী। রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসায়ে তার সুনাম রয়েছে। বাড়িটিতে শনিবার রাতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে অবস্থান করছিলেন তিনি।
নিহত গোলাম আজম স্ত্রী বন্যা আক্তার, ছোট ছেলে বাঁধন এবং ছয় বছরের এক মেয়েকে নিয়েই বাড়িতে থাকতেন তিনি। তার বড় ছেলে লিমন লেখাপড়ার জন্য ময়মনসিংহে থাকেন।
সন্ধ্যায় ঘর থেকে বের না হওয়ায় মেয়ে তাকে ডাকতে যায়। গিয়ে দেখেন গোলাম আযম রক্তাক্ত অবস্থায় তখন বিছানায় পড়ে ছিলেন। মেয়ের চিৎকার শুনে অন্যরা এগিয়ে আসেন। তার স্ত্রী ও ছেলে প্রতিবেশীদের সহযোগিতা চান। খবর দেয়া হয় থানায়।
পিবিআইসহ পুলিশের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আলামত যাচাই করে। গোলাম আযমকে সন্ধ্যার অনেক আগে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।
সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ভবেশ চন্দ্র পাল বলেন, ‘নিহতের বড় ছেলে বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। আমরা তদন্ত করছি। আশা করি দ্রুত ঘটনার হদিস বের করতে পারব।’