সদ্য ঘোষিত বরগুনা জেলা যুবলীগের সহ সভাপতির পদ পেয়েছেন বরগুনা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহিদুল করিম বাবু। তিনি বিএনপির সহযোগী সংগঠন জেলা শ্রমিকদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।
বাবুর যুবলীগের পদ পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার বরগুনা জেলা আওয়ামী যুবলীগের ২৮ জনের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক পদে মাঈনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত ওই তালিকার ১০ নম্বরে সহ সভাপতি হিসেবে জাহিদুল করিম বাবুর নাম রয়েছে। এতে সাবেক পদের কলামে ‘যুগ্ম সম্পাদক, জেলা শ্রমিক লীগ’ লেখা রয়েছে।
এদিকে ২০১৫ সালের ২৯ আগস্ট অনুমোদিত বিএনপির সহযোগী সংগঠন জেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক কমিটির তালিকার ১২ নম্বরে সদস্য হিসেবে বাবুর নাম রয়েছে। এ কমিটি অনুমোদন দিয়েছিলেন জেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০১৫ সালে জেলা শ্রমিকদলের কমিটি দিয়েছিলাম। বাবু ওই কমিটির একজন সদস্য ছিলেন এবং তিনি কমিটি থেকে অব্যহতি নেননি।’
যোগাযোগ করা হলে কাউন্সিলর ও সদ্যঘোষিত জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি জাহিদুল করিম বাবু বলেন, ‘আমি ২০০৫ সাল থেকে জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আছি। এছাড়াও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতেও ছিলাম।’
জেলা কার্যালয়ে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিজের ছবি প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিএনপির অফিসে একটা সালিশে গিয়েছিলাম, সেই সময়ের ছবি ওইটা। আমি শ্রমিকদলের কোনো কমিটিতে নেই। কমিটির ওই তালিকা ভুয়া।’
এ বিষয়ে আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ‘আমার উপর দায়িত্ব ছিল সম্মেলন করার, সেটি করেছি। এখন কমিটি দিয়েছে, আমি তাদের নিয়ে কাজ করব। কমিটির বিষয়ে কিছু জানার থাকলে চেয়ারম্যান মহোদয় ও সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক মহোদয়ের সাথে কথা বলতে হবে।’
কমিটির বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস ও সাধারণ সম্পাদক পদে মাঈনুল হোসেনকে ফোন করা হলেও তা ধরেননি।