বিএমএমওএর সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাখওয়াত হোসেন বলেন, ‘ফ্রিজার ভ্যানে করে তার মরদেহ আনার জন্য ইউক্রেনে সংস্থাটি প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুদ্ধবিরতি এলাকার সড়ক দিয়ে মলদোভা হয়ে রোমানিয়ায় আনা হবে হাদিসুরের মরদেহ। আশা করছি, ইউক্রেনের স্থানীয় সময় বিকেল নাগাদ রওনা দেবে তারা।’
বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ২৮ নাবিক-ক্রু রোববার নিরাপদে ইউক্রেন থেকে রোমানিয়ায় ফিরেছেন। ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের কাছে একটি বাংকারে ফ্রিজারে পড়ে আছে জাহাজটি থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের নিথর দেহ।
এবার তার মরদেহ রোমানিয়ায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে তার মরদেহ আনার জন্য নেয়া হয়েছে সব প্রস্তুতি। ফ্রিজার ভ্যানে করে মলদোভা হয়ে রোমানিয়ার বুখারেস্টে আনা হবে তার মরদেহ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ইউক্রেনের স্থানীয় সময় বিকেলেই রওনা করবে মরদেহবাহী গাড়িটি।
সোমবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাখওয়াত হোসেন।
হাদিসুর রহমানের মরদেহ মলদোভা থেকে বুখারেস্টে আনতে গাড়ি ঠিক করেছি আমরা। মলদোভায় অনরারি কনস্যুলার জেনারেল সেটি গ্রহণ করে রোমানিয়ার বুখারেস্টে নিয়ে আসবেন। এখানে তার মরদেহ ফ্রিজারে সংরক্ষণের সব ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে ফ্লাইটে তার মরদেশ দেশে পাঠানো হবে
২৮ নাবিককে রোমানিয়া আনতে যে সংস্থা সহযোগিতা করেছে, তারাই এবার হাদিসুর রহমানের ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে বলে জানান বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাখওয়াত হোসেন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফ্রিজার ভ্যানে করে তার মরদেহ আনার জন্য ইউক্রেনে সংস্থাটি প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুদ্ধবিরতি এলাকার সড়ক দিয়ে মলদোভা হয়ে রোমানিয়ায় আনা হবে হাদিসুরের মরদেহ। আশা করছি, ইউক্রেনের স্থানীয় সময় বিকেল নাগাদ রওনা দেবে তারা।’
আজ ফ্লাইটের টিকিট পাওয়া যায়নি। আমরা চেষ্টা করছি। টিকিট পেলে যেকোনো সময় তাদের দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাদিসুর রহমানের মরদেহ মলদোভা থেকে বুখারেস্টে আনতে গাড়ি ঠিক করেছি আমরা। মলদোভায় অনরারি কনস্যুলার জেনারেল সেটি গ্রহণ করে রোমানিয়ার বুখারেস্টে নিয়ে আসবেন। এখানে তার মরদেহ ফ্রিজারে সংরক্ষণের সব ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে ফ্লাইটে তার মরদেশ দেশে পাঠানো হবে।’
২৮ নাবিক কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন- এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আজ ফ্লাইটের টিকিট পাওয়া যায়নি। আমরা চেষ্টা করছি। টিকিট পেলে যেকোনো সময় তাদের দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে।’
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছায়। জাহাজটির ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল, তবে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার পর আর ফিরতে পারেনি।
বন্দরে ২৯ নাবিক নিয়ে আটকা পড়েছিল জাহাজটি। এর মধ্যে গত বুধবার সন্ধ্যায় রকেট হামলায় জাহাজে মৃত্যু হয় থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমানের। পরে বৃহস্পতিবার জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ২৮ নাবিক ও ক্রুকে সরিয়ে নেয়া হয় নিরাপদ স্থানে।