পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পুড়ে যাওয়া ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৭ বছরের শিশুর দগ্ধ মরদেহ। তাকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন মা।
উপজেলার ধুুলারসর ইউনিয়নের পশ্চিম চাপলি এলাকায় সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম সামিয়া। সে রাজমিস্ত্রি মো. বাবু ও গৃহবধূ চম্পা বেগমের মেয়ে।
মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাবুর ভাই কে এম রানা হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, ঘটনার সময় বাবু কাজের জন্য বাইরে ছিলেন। বাড়িতে ছিলেন চম্পা ও সামিয়া। সেখানে তাদের নতুন ঘরের পাশে চুলায় রান্না করছিলেন চম্পা। সামিয়া সেখানেই বসা ছিল।
রানার ধারণা, রান্না বসিয়ে চম্পা হয়তো ঘরের ভেতর কোনো কাজে যান। তখনই কোনোভাবে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় চম্পা মেয়েকে বের করতে গেলে তিনিও দগ্ধ হন।
তিনি জানান, প্রতিবেশীরা গিয়ে চম্পাকে বের করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। এরপর আশপাশের আরও লোকজন জড়ো হয়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা করেন। নিভে যাওয়ার পর ভেতর থেকে সামিয়ার মরদেহ বের করা হয়।
ওসি আবুল খায়ের বলেন, ‘ঘটনাটি মর্মান্তিক। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ঘরটা এমন জায়গায় যে, আশপাশের কোথাও কোনো পুকুর বা খাল নাই। কিছুদূরে একটিমাত্র টিউবওয়েল। যে কারণে আগুন নেভাতে কষ্ট হয়েছে।
‘অনেকক্ষণ ধরে আগুন জ্বলতে থাকায় বাচ্চাটাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তার মায়ের অবস্থাও তেমন একটা ভালো না। শরীরের একটা সাইড সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। সবার ধারণা, চুলা থেকে আগুন লাগতে পারে। তারপরেও খোঁজখবর নিচ্ছি।’