যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের যাত্রা ও পরবর্তীতে জাহাজে রকেট হামলায় এক নাবিকের মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ)।
বিএসসির গাফিলতিতেই শত কোটি টাকার জাহাজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দাবি করে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে।
তদন্ত কমিটি গঠন করতে রোববার দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে আবেদন করেছে নাবিকদের সংগঠন বিএমএমওএ।
নিউজবাংলাকে বিএমএমওএ-এর সভাপতি ক্যাপ্টেন এনাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিএসসির গাফিলতির কারণেই এক নাবিককে হারিয়েছি। শুধু তাই নয়, কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। তাদের অব্যবস্থাপনার কারণে জাহাজটির ভবিষ্যৎ এখন হুমকির মুখে।
‘তাই আমরা নাবিকের মৃত্যুসহ সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছি। আশা করছি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমেই অব্যবস্থাপনার জন্য বিএসসির কারা দায়ী তা চিহ্নিত করা হবে।’
এদিকে লিখিত আবেদনে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বিএসসি জাহাজটিকে Charterer Party War Zone নীতিমালা অনুসরণ না করে যুদ্ধকবলিত স্থানে (War Zone) পাঠিয়েছিল। বিমা শুধুমাত্র দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ দিতে পারে, কিন্তু কোনো বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে না।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘জাহাজে কর্মরত নাবিক ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি (বাংলার সমৃদ্ধির) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ছিল জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু বিএসসি পরিস্থিতি বিবেচনা না করে যুদ্ধকবলিত স্থানে জাহাজটিকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যা একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছিল। বিএসসির এমন সিদ্ধান্তে একজন তরুণ নাবিকের মৃত্যু এবং রাষ্ট্র ও সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত।’
তাই ঘটনার পেছনে বিএসসির যে অব্যবস্থাপনা ছিল, তা খতিয়ে দেখতে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে না হয় সে ব্যাপারে কার্যকর উপায় খুঁজে বের করতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি জানিয়েছে সংঘটনটি।