করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমে আসছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার হিসেবে দেশে পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ২ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ নিয়ে টানা ১০ দিন করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এতথ্য জানিয়েছে।
এতে জানানো হয়, দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও চারজনের। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ৮৯।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। আগেরদিন করোনাশূন্য জেলার সংখ্যা ছিল ১৬টি। আর তার আগের দিন শনিবার করোনাশূন্য ছিল ১০ জেলা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, শনাক্তের হার টানা ১৪ দিন ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনার নিয়ন্ত্রণে বলে ধরা হয়। এ হিসেবে দেশে করোনা তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে অপেক্ষা করতে হবে আরও চার দিন।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২০ হাজার ৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৩৬ জনের শরীরে ভাইরাসটি ধরা পড়েছে। এ নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭০২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৫৪৬ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৪৬ হাজার ৮৮৪ জন করোনা রোগী।
সর্বশেষ মৃত চারজনের মধ্যে পুরুষ তিন ও নারী একজন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের তিনজন এবং সিলেটে একজন রয়েছেন। বাকি ৬ বিভাগে গত একদিনে মৃত্যু নেই।
টানা দুই সপ্তাহ করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু কমছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শনাক্ত কমেছে ৫১ শতাংশ। মৃত্যু কমেছে ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ। গত এক সপ্তাহে যারা মারা গেছেন তাদের ৪৯ দশমিক ৯ শতাংশ টিকা দেননি।
গত ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আরও আট দিন সংক্রমণ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ২৮ জানুয়ারি শনাক্তের হার রেকর্ড গড়ার পরদিন থেকেই তা নিচের দিকে নামতে থাকে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায় প্রথমবারের মতো। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার করোনা শনাক্তের দুই বছর পূর্ণ হবে। গণটিকার মাধ্যমে যারা প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হবে আগামী ২৮ মার্চ, চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত।