সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে করার অভিযোগে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার অভিযোগ গঠনের (চার্জ) শুনানি চতুর্থবারের মতো পিছিয়েছে।
সোমবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান আসামি পক্ষের সময় আবেদন গ্রহণ করে আগামী ৬ এপ্রিল শুনানির জন্য ফের তারিখ ঠিক করেন।
এদিন নাজমুল হুদা আদালতে আসলেও তিনি তার আইনজীবী মো. এহসানুর রহমানের মাধ্যমে হাইকোট ও আপিল বিভাগ থেকে এ মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি পাননি জানিয়ে অভিযোগ গঠনের জন্য সময় প্রার্থনা করেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম এ সালাউদ্দিন কিং।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর, ১৬ জানুয়ারি ও ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ধার্য তারিখ ছিল।
১৩ ডিসেম্বর মামলাটি সংশ্লিষ্ট আদালতে যাওয়ায় ব্যারিস্টার নাজমুল স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেছিলেন। ওইদিন বিচারক তাকে জামিন দেন।
গত বছরের ২৪ নভেম্বর ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
এরআগে অক্টোবরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহম্মেদ এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-১-এ নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
নথিপত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা শাহবাগ থানায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলা উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়।
অভিযোগ করা হয়, মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ চান এসকে সিনহা। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে আসে।
দেড় বছর তদন্ত করে এসকে সিনহার বিরুদ্ধে নাজমুল হুদার মামলাটি মিথ্যা অভিযোগে করা বলে প্রমাণিত হয়েছে দুদকে। পরে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে উল্টো ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধেই মামলা করে দুদক।