বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করপোরেট সুবিধায় ভোজ্যতেল আমদানি নয়: এফবিসিসিআই

  •    
  • ৭ মার্চ, ২০২২ ১৫:৫২

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘ভোজ্যতেলের বিষয়টি কোনো মামুলি বিষয় নয়। এখানে ধনী-গরিব সব শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বার্থ জড়িত। এর আমদানি, পরিশোধন, সরবরাহ ও ভোক্তা পর্যায়ে দেয়ার প্রক্রিয়াটি অতি স্বচ্ছ হতে হবে।’

করপোরেট সুবিধায় দেশে ভোজ্যতেল আমদানি চায় না ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

ভোজ্যতেলের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার আয়োজিত সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সংগঠনটির এ অবস্থানের কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘বন্ডেড সুবিধায় ভোজ্যতেল আমদানি হলে কেন্দ্রীয়ভাবে পণ্যটির আমদানি, মজুত ও সরবরাহ তথ্যটি সরকারের হাতে থাকত। পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো সরকারের বন্ডেড ওয়্যারহাউস থেকে প্রয়োজনীয় চালান নিয়ে পরিশোধন করত এবং স্টক শেষ হলে আবার ওয়্যারহাউসে আসত।

‘বিশ্বের সব দেশে এ পদ্ধতিতেই ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করা হয়, কিন্তু আমাদের দেশে সেটি হচ্ছে না।’

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এখন পুরো প্রক্রিয়াটি চলে গেছে গুটিকয়েক করপোরেট কোম্পানির হাতে। ফলে এখন কারা, কী পরিমাণ পরিশোধিত-অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে, তার কোনো তথ্য সরকারের কাছে কেন্দ্রীয়ভাবে থাকছে না। একেকটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান নিজেদের মতো করে এলসি করছে এবং তেল আমদানি করছে। তারা যখন খুশি আমদানি করছে এবং বাজার সুবিধা অনুযায়ী বাজারজাত করছে।

‘এ কারণে দেশের তেলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। এতে সরকার বিব্রত হচ্ছে, যাতে সাফার করছে ভোক্তারা। এ পরিস্থিতির উত্তরণে ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহের জায়গাটি নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে থাকা জরুরি। এ প্রক্রিয়ায বন্ডেড সুবিধা নিয়ে তালিকাভুক্ত ব্যবসায়ীরা এ পণ্যটি আমদানি করবে।’

তিনি বলেন, ‘আগে আমাদের দেশেও এটি হতো। এখন কী কারণে কীভাবে এটি করপোরেটদের হাতে হাতে চলে গেছে, জানি না। আবার দেখছি, সরকারও তেলের বাজার পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে সরাসরি করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডাকছে, কিন্তু এফবিসিসিআই ব্যবসায়ীদের একটি মাদার সংগঠন হলেও অনেক ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবহিত করা হচ্ছে না। ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি আর হতে দেয়া যাবে না।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘ভোজ্যতেলের বিষয়টি কোনো মামুলি বিষয় নয়। এখানে ধনী-গরিব সব শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বার্থ জড়িত। এর আমদানি, পরিশোধন, সরবরাহ ও ভোক্তা পর্যায়ে দেয়ার প্রক্রিয়াটি অতি স্বচ্ছ হতে হবে।

‘এর জন্য দেশে কী পরিমাণ তেল আমদানি হলো, কার কাছে কী পরিমাণ তেল থাকল, কে, কী পরিমাণ সরবরাহ দিল, তার একটি পরিপক্ব হিসাব থাকতে হবে। সেটি তখনই সম্ভব হবে, যখন অপরিশোধিত তেল আমদানি অবস্থাতেই বন্ডেড সুবিধায় আনা হবে এবং তার মজুত, সরবরাহ ও দাম সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরোপ হবে। আগামীতে ভোজ্য তেলের দৈনন্দিন উৎপাদন, পরিশোধন, আমদানি ও সরবরাহ পরিস্থিতির হিসাব এফবিসিসিআইও রাখবে।’

এফবিসিসিআই এ লক্ষ্যে একটি সেল গঠনের কাজ করছে বলেও জানান জসিম উদ্দিন।

এ বিভাগের আরো খবর