বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশ পরিদর্শককে ‘ধর্ষণ’: সেই এসপির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

  •    
  • ৭ মার্চ, ২০২২ ১৫:৪৮

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে আসামি বাদীর বাসায় গিয়ে তার ব্যবহৃত গাড়ির চাবি চান। ওই সময় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান ও হুমকি দেন।  

নারী পুলিশ পরিদর্শককে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলায় চার্জশিট গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আগামী ১১ এপ্রিল চার্জগঠন শুনানির জন্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে।

২ মার্চ বুধবার দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী এই আদেশ দেন।

সোমবার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা আহমেদ অরেঞ্জ নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

এদিন পুলিশ সুপার (এসপি) মোকতার হোসেন আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। শুনানিতে তার জামিন মঞ্জুর করেছে ট্রাইব্যুনাল।

মামলার তদন্ত শেষে ৩০ জানুয়ারি মোকতারকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক জসিম উদ্দিন।

গত বছরের ১২ আগস্ট ঢাকার সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে মামলাটির আবেদন করেন পুলিশের এক নারী পরিদর্শক। পরে ট্রাইব্যুনাল রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন বিচারক।

অভিযোগে বলা হয়, পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন ২০১৯ সালের মে মাসে সুদানে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্টের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হন। বাদী আগে থেকেই সুদানে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে আসামি বাদীর বাসায় গিয়ে তার ব্যবহৃত গাড়ির চাবি চান। ওই সময় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান ও হুমকি দেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এরপর ২২ ডিসেম্বর ক্ষমা চেয়ে আবারও তাকে ধর্ষণ করেন এসপি মোকতার। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ‘মৌখিকভাবে বিবাহ’ করে বাদীকে আবারও ধর্ষণ করেন। এর পরও আরও কয়েক দফা বাদীকে ধর্ষণ করেন মোকতার হোসেন। তবে নিকাহ রেজিস্ট্রেশন করে বাদীকে গ্রহণের তাগিদ দিলে মোকতার হোসেন তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। বাদীকে এড়িয়ে যেতে থাকেন।

এতে বলা হয়েছে, এমন অবস্থায় ওই বছরের ২১ এপ্রিল বাদী মোকতার হোসেনের রাজারবাগের বাসায় গিয়ে আশ্বাস অনুযায়ী বিয়ের কাবিননামা সম্পন্ন করার তাগিদ দেন। এতে মোকতার হোসেন অস্বীকৃতি জানান। তখন মোকতার হোসেন, তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে বাদীকে মারধর করেন এবং হুমকি দেন। করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলেও জানান বাদী।

অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন। বাদী বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ করেন।

ওই অভিযোগটিও চলমান রয়েছে বলেও মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর