জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
প্রতিষ্ঠানটির শহীদ ডা. মিল্টন হলে সকাল ১০টার দিকে ৭ মার্চের ‘ভাষণের প্রেক্ষাপট ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এতে মুখ্য আলোচক ছিলেন ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ।
এই আয়োজনে বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, ডিন অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলালসহ অনেকে অংশ নেন।
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমেই বাঙালি জাতি উদ্বুদ্ধ হয়ে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এর ফলে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বেতার, শাহবাগস্থ সম্প্রচার ভবন ১৯৬০ সালে স্থাপিত হয়। এটি দেশের প্রথম এবং প্রাচীনতম পূর্ণাঙ্গ ব্রডকাস্টিং হাউস। এই সম্প্রচার ভবন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহকরূপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
‘এই ভবনের নিচ তলায় আঞ্চলিক প্রকৌশলীর দপ্তর, বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা কেন্দ্রের অবস্থান। এই কেন্দ্রটি পুরাতন প্রচার ভবন নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ সরাসরি সম্প্রচারে তদানীন্তন পাকিস্তান সরকারের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে এই কেন্দ্রের সব সম্প্রচার কার্যক্রম বেতারকর্মীরা বন্ধ করে দেন এবং তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পরের দিন ৮ মার্চ সকালে এখান থেকে ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রচার হয়।’
মুখ্য আলোচক ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান ১৯৭১ সালের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘একটি ভাষণ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। সেটা হলো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ।’