প্রথমবারের মতো দেশে জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বা এফএও সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের চার দিনের আঞ্চলিক সম্মেলনটি শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন। এতে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৬টি দেশের কৃষিমন্ত্রী, কৃষিসচিব ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।
সচিবালয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আগামী মঙ্গলবার শুরু হয়ে এ সম্মেলন চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।
তিনি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের জন্য গৌরবের। করোনার কারণে এবার হাইব্রিড ফরম্যাটে (সরাসরি ও ভার্চুয়াল) এই সম্মেলন হবে। এতে অংশ নিতে এরই মধ্যে ৪৩টি সদস্য রাষ্ট্র, এফএওর মহাপরিচালক, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির ৯০০ জন প্রতিনিধি নিবন্ধন করেছেন। সম্মেলনে সদস্য দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের ৪২ জন সদস্যও অংশ নেবেন।’
এফএও-এর প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৩ সালে ভারতের বেঙ্গালুরু শহরে। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ এই সংস্থার সদস্য হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, এবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সম্মেলনের মূল অধিবেশন এবং বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও কান্ট্রি শোকেসিং হবে।
কৃষিমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে খাদ্য ও কৃষির বর্তমান অবস্থা, এ অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে করণীয়, অ্যাগ্রিকালচার ভ্যালু চেইন ডিজিটাইজেশন ত্বরান্বিতকরণ, ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচে গড়ে তুলতে অগ্রাধিকার চিহ্নিতকরণ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সম্মিলিত বিনিয়োগ নিয়ে এবারের সম্মেলনে আলোচনার বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
সম্মেলনের মঙ্গল ও বুধবার সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কৃষিসচিব ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সভা এবং শেষ দুই দিন বৃহস্পতি ও শুক্রবার কৃষিমন্ত্রী পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রী পর্যায়ের সভা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এ সম্মেলনকে সফলভাবে আয়োজনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সক্ষমতা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চাই, যাতে করে ভবিষ্যতে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশে সম্মেলন আয়োজনে আগ্রহী হয়।’