সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২২-২৩ সেশনের নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থিত সাদা প্যানেলের বাইরে গিয়ে সম্পাদক পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী সরে দাঁড়িয়েছেন।
রোববার আওয়ামী ঘরানার আইনজীবী হিসেবে পরিচিত যুথী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, দলীয় আনুগত্য প্রকাশ করে ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিজয়ের লক্ষ্যেই তার এই প্রার্থিতা প্রত্যাহার।
নাহিদ সুলতানা যুথী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী হিসেবে পরিচিত। তবে এবারের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী সমর্থিত সাদা প্যানেলের বাইরে সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। একইভাবে সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীরও।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য আবেদনপত্রে যুথী লিখেছেন, ‘দলীয় মনোনয়নের স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমি সেই প্রয়াসে কাজ করে যাচ্ছি। সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনের ধারায় প্রতিবন্ধকতা না করার প্রয়াসে এবং বিজ্ঞ আইনজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, দলীয় আনুগত্য প্রকাশ এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বিজয়ের লক্ষ্যে আমি আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছি।’
যুথী ব্যক্তিজীবনে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। অন্যদিকে তানিয়া আমীর প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের মেয়ে।
আমীর-উল ইসলাম আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য। তবে ১৯৯১ সালের পর জাতীয় নির্বাচনে আর মনোনয়ন পাননি। তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।
আগামী ১৫ ও ১৬ মার্চ দুই দিন আইনজীবী সমিতির ভোট হবে। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি পদে সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক পদে আবদুন নুর দুলালকে প্রার্থী করা হয়েছে।
এর আগে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবী হয়েও কেন প্যানেলের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হয়েছেন- এমন প্রশ্নে যুথী বলেছিলেন, ‘আমি এবারের নির্বাচনে সম্পাদক পদে মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছিলাম। আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতে আমাকে না দিলেও কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু আলোচনায় ওঠার আগেই আমার নামটা কেটে দেয়া হয়েছে। এতে মনে হয়েছে, আমার অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।’