বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাঠ্যবইয়ে নিজেদের দেখে কলসিন্দুরকন্যাদের উচ্ছ্বাস

  •    
  • ৭ মার্চ, ২০২২ ০০:৫১

নিজেদের গল্প পাঠ্যবইয়ে দেখে এখন আবেগ আপ্লুত সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা, তহুরা খাতুনরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তারা।

কলসিন্দুর গ্রামের নামটি এখন কে না জানে। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার প্রত্যন্ত এই গ্রামটিকে যারা দেশ বিদেশে পরিচিত করেছেন, তারা ওই গ্রামেরই দুরন্ত একদল কিশোরী ফুটবলার।

গর্বিত এই কিশোরীদের যাত্রাটি শুরু হয়েছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায়ই। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে টানা তিনবার তারা কলসিন্দুর প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন করে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

এই দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই পরে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবলের অনূর্ধ্ব-১৪ ও অনূর্ধ্ব-১৬ দলের সুযোগ পায়। তাদের হাত ধরেই আন্তার্জাতিকভাবেও আসে বেশকিছু সফলতা।

এরই ধারাবাহিকতায় কলসিন্দুরকন্যাদের বীরত্বগাঁথা এবার স্থান পেয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে।

নিজেদের গল্প পাঠ্যবইয়ে দেখে এখন আবেগ আপ্লুত সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা, তহুরা খাতুনরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তারা।

সানজিদা আক্তার তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘কলসিন্দুর এলাকার মেয়ে হিসেবে আমি গর্ব অনুভব করছি।’

গত ডিসেম্বরে অনুর্ধ্ব-১৯ নারী সাফজয়ী দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্দা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি অনেক কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’

বইয়ের পাতায় ফুটবলকন্যাদের গল্প দেখে উচ্ছ্বসিত ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও।

সহকারী শিক্ষক উজ্জ্বল চন্দ্র পাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আরও আগেই এদের সাফল্যের গল্প পাঠ্যবইয়ে রাখার প্রয়োজন ছিল। কারণ খুব কষ্ট করে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এ পর্যন্ত এসেছে তারা। এদেরকে দেখেই অন্য মেয়েরা খেলাধুলায় উৎসাহ পাবে। দেরিতে হলেও তাদের নাম পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও নারী ফুটবল দলের ম্যানেজার মালা রানী সরকার বলেন, ‘এরা রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে এ পর্যন্ত এসেছে। পাঠ্য বইয়ে এদের গল্প তুলে ধারায় আরও উৎসাহ পাবে। আমারও এদের জন্য গর্বিত।’

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রতন মিয়া বলেন, ‘বইটিতে যখনই হাত দিয়েছি, তখনই আনন্দ পেয়েছি। পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্য বইয়েও এদের গল্প তুলে ধরলে আগে থেকেই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের পরিশ্রমের পর সাফল্যের ইতিহাস জানতে পারবে।’

নারী ফুটবলারদের গল্প ছাড়াও এবারের ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুত্র শেখ কামাল, ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়া সাঁতারু ব্রজেন দাস ও এভারেস্ট জয়ী নিশাত মজুমদারের সাফল্যের গল্পও তুলে ধরা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর