গুদামে সয়াবিন তেল ভর্তি, অথচ ক্রেতাদের বলছিলেন তেল নেই। ক্রেতাদের সন্দেহ হচ্ছিল- এত বড় দোকানে সয়াবিন তেল নেই!
শেষ পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নজরে আসে বিষয়টি।
রোববার রাজশাহী নগরীর হাদির মোড় এলাকায় ওই গুদামে অভিযান চালান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ। পেয়ে যান ৮০০ লিটার সয়াবিন তেল। পরে দোকান মালিকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীর নাম মো. জুয়েল। ৪২ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ীর দোকানের নাম ‘শাহাবুদ্দিন স্টোর’। দোকানের পাশেই একটি বাড়ির দোতলায় তার গুদাম। সেখানেই লুকিয়ে রেখেছিলেন ৮০০ লিটার সয়াবিন তেল।
এ ঘটনায় জরিমানার টাকা তাৎক্ষণিকভাবেই পরিশোধ করতে হয়েছে জুয়েলকে।
ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা হাসান-আল-মারুফ বলেন, ‘রোববার দুপুরে ক্রেতা সেজে আমরা জুয়েলের দোকানে যাই। তখন জুয়েল জানান, তার দোকানে সয়াবিন তেল নেই। এত বড় দোকানে সয়াবিন তেল নেই দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তার গুদামটি সম্পর্কে খোঁজ পাই। তারপর জুয়েল কোনোভাবেই গুদামে নিয়ে যাবেন না। এক রকম জোর করে সেখানে গিয়ে দেখি ৮০০ লিটার তেল।’
তিনি জানান, সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি চেষ্টার অভিযোগে জুয়েলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া তার কাছ থেকে একটি মুচলেকা নেয়া হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে জুয়েল সব তেল বোতলে লেখা মূল্যে বিক্রি করে দেবেন বলে মুচলেকা দিয়েছেন।
তেল বিক্রি না করলে তার বিরুদ্ধে আবারও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান হাসান-আল-মারুফ।