ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে চলছে তোড়জোড়। অলিগলি ছেয়ে গেছে ব্যানার, পোস্টার ও তোরণে। সম্মেলন সামনে রেখে ছোট পৌর শহরের পথে পথে তোরণে অসহনীয় যানজটে স্থানীয়দের নাভিশ্বাস উঠেছে। বেদখল ফুটপাতেও চলাচলের উপায় নেই।
১২ মার্চ আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার কথা।
স্থানীয়রা জানান, সম্মেলনের ১৫ দিন আগে থাকতেই সড়কে তোরণ নির্মাণ শুরু করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। বাড়তে বাড়তে তোরণের সংখ্যা এখনই ২০ ছাড়িয়েছে। রেলওয়ে স্টেশন থেকে সম্মেলনস্থল উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়কে ১০০ তোরণ নির্মাণের টার্গেট নেয়া হয়েছে।
আশপাশের অন্য সড়কেও বেশকিছু তোরণ নির্মাণ চলছে। নেতাকর্মীরা জানান, তোরণের ৯০ ভাগের বেশি হবে পৌর মেয়র ও যুবলীগের আহ্বায়ক মো. তাকজিল খলিফা কাজলের।
রোববার দুপুরে দেখা যায়, তোরণগুলোর বাঁশ সড়কের মধ্যে পোঁতা হয়েছে। এতে সড়কের দুই পাশে তিন ফুট করে ছয় ফুট জায়গা কমে গেছে। সড়ক সরু হওয়ায় যান চলাচল করতে পারছে না। সংকুচিত সড়কে লেগে থাকছে যানজট। তোরণের বাঁশে লেগে যাচ্ছে যানবাহন।
গত শনিবার থেকে দিনে পৌর এলাকায় ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এতে কিছুটা স্বস্তির কথা জানিয়েছেন অনেকে।
তোরণগুলোর বেশির ভাগই মেয়রের পক্ষের প্রচারণা। এসব তোরণে বেশির ভাগই যুবকদের ছবি দেয়া, তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় নন। মেয়রের লোকজন এসব তোরণ বসিয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, ‘তোরণের কারণে যানজট লেগে থাকছে। যাদের দোকানের সামনে তোরণ পড়েছে সেসব ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তোরণ করতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে অনেক আগে থেকে বসানোয় সড়কে দুর্ভোগটা বেশি দিন পোহাতে হচ্ছে। আমরা কিছু বলব সেই পরিস্থিতিও নেই। তবে কোনোভাবে আইনমন্ত্রীর কানে বিষয়টি পৌঁছানো গেলে তিনি নিশ্চিত ব্যবস্থা নেবেন।’
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন বাবুল বলেন, ‘সম্মেলন সামনে রেখে সব জায়গায়ই এ ধরনের তোরণ নির্মাণ হয় । আমাদের এখানেও হয়েছে । এতে জনগণের কিছুটা দুর্ভোগ হবে। সাময়িক দুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।’
সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী পৌর মেয়র তাকজিল খলিফ কাজল বলেন, ‘জনগণের দুর্ভোগ কিছুটা হবে ভেবেই সম্মেলনের দু-এক দিন আগে গেট নির্মাণের জন্য বলেছিলাম । নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাসের কারণে একটু আগেই গেট নির্মাণ হচ্ছে।’