পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ডাচ্-বাংলা মহামারির দ্বিতীয় বছরে আয় বাড়াতে পারলেও লভ্যাংশ কিছুটা কমিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে রোববার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সাড়ে ২৭ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আগের বছর লভ্যাংশ ছিল ৩০ শতাংশ।
ব্যাংকটি আগের বছরের মতোই লভ্যাংশের একটি অংশ নগদে এবং একটি অংশ বোনাস হিসেবে দেবে। এর মধ্যে সাড়ে ১৭ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি এক টাকা ৭৫ পয়সা দেয়া হবে নগদে, বাকি ১০ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি ১০টি শেয়ারের বিপরীতে একটি দেয়া হবে বোনাস হিসেবে।
আগের বছর ব্যাংকটি ১৫ শতাংশ করে নগদ ও বোনাস শেয়ার দিয়েছিল। এই হিসাবে ব্যাংকটি বোনাস কমিয়ে নগদ লভ্যাংশ বাড়িয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৩টি ব্যাংকের মধ্যে ডাচ্-বাংলাই প্রথম লভ্যাংশ ঘোষণা করল।
২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ডাচ্-বাংলার শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৮ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৮ টাকা ৬৯ পয়সা (১৫ শতাংশ বোনাস সমন্বয়ের পর)।
২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ব্যাংকটি টানা নগদ লভ্যাংশ দেয়ার পর ২০১৮ সাল থেকে বোনাস শেয়ার দিতে শুরু করে। ওই বছর ১৫০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি দুটি শেয়ারের বিপরীতে তিনটি বোনাস শেয়ার দেয়া হয়।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের আয়-ব্যয় ও লভ্যাংশের ঘোষণা
এর পরের বছর লভ্যাংশ আসে ১০ শতাংশ বোনাস ও ১৫ শতাংশ নগদ। গত বছর তারা সেই বছরের তুলনায় লভ্যাংশ ৫ শতাংশ বাড়ায়।
গত বছর করোনার সময় এই ব্যাংকটি মুনাফা বাড়িয়ে চমক দেখায়। চলতি বছর প্রথম দুই প্রান্তিকে আগের বছরের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও তৃতীয় প্রান্তিক ও চতুর্থ প্রান্তিকে ভালো করে তারা গত বছরকেও ছাপিয়ে যায়।
যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ২৮ মার্চ শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিনই হবে রেকর্ড ডেট। এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম ডাকা হয়েছে আগামী ২৪ এপ্রিল।
এজিএমে লভ্যাংশ পরিবর্তনের সুযোগ থাকলেও এর প্রবণতা খুব একটা বেশি দেখা যায় না।