বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন বিশ্বব্যাপী দৃশ্যমান বলে মন্তব্য করেছেন ইথিওপিয়ার বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী মিলাকো আলেবেল।
তিনি বলেছেন, ‘বৈশ্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা প্রশংসনীয়। আমাদের দেশের (ইথিওপিয়া) উন্নয়নেও বাংলাদেশের রোল মডেল কাজে লাগানো সম্ভব।’
রোববার দুই দেশের সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে যোগ দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য উন্নয়ন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং চলমান বাণিজ্য জটিলতা দূর করতে বাংলাদেশ ও ইথিওপিয়া উভয় পক্ষই একমত হয়েছে। ঢাকার সঙ্গে আদ্দিস আবাবা দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার যে আগ্রহ জানিয়ে আসছে, সেটিও বৈঠকের আলোচনায় অনেক দুর এগিয়েছে।
বৈঠক থেকে দাবি করা হয়, চলতি বছর জুনের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু করা সম্ভব হবে।
বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল লতিফ বকসী জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য উন্নয়নে সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ইথিওপিয়ার বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী মিলাকো আলেবেলকে অবহিত করে বলেছেন, সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, ওষুধ, আইসিটি পণ্য, জাহাজ নির্মাণ, প্লাস্টিক পণ্য, সিরামিক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কৃষিজাত পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কম দামে রপ্তানি করছে। ইথিওপিয়াও বাংলাদেশ থেকে কম দামে বিশ্বমানের এসব পণ্য আমদানি করলে লাভবান হবে।
বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং এক্ষেত্রে জটিলতাগুলো দ্বিপাক্ষিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। বাংলাদেশ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব রকম পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। ফলে বিশ্বের অনেক দেশ বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে। উভয় দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল সফর বিনিময় করলে বাণিজ্য সহজ হওয়ার পাশাপাশি বিনিয়োগে আগ্রহও বাড়বে।
জবাবে ইথিওপিয়ার বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী মিলাকো আলেবেল বলেন, ‘ইথিওপিয়া থেকে বাংলাদেশ ফলমূল, ওয়েলসিড, কফি, ফুল প্রভৃতি পণ্য আমদানি করলে লাভবান হবে। ইথিওপিয়ার এসব পণ্য মানসম্পন্ন এবং দাম তুলনামূলক কম।’
বাংলাদেশ যদি ইথিওপিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়ায় এবং পণ্য আমদানি ও রপ্তানি সহজ করার উদ্যোগ নেয় তাহলে আদ্দিস আবাবা এ অঞ্চলের বাণিজ্য হাব হিসেবে গড়ে উঠবে বলেও দাবি করেন মিলাকো আলেবেল।