বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইএফসির নতুন কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হল্টমান

  •    
  • ৬ মার্চ, ২০২২ ১৭:৫১

হল্টমান বলেন, ‘বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে কাজ করতে যাওয়ার বিষয়ে আমি খুবই আনন্দিত। এই দেশগুলো জোরালো অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা এবং আর্থিক চাপের মুখে উল্লেখযোগ্যভাবে টিকে থাকার সামর্থ্য দেখিয়েছে। বাজার তৈরি এবং টেকসই উন্নয়ন উৎসাহিত করতে আইএফসির প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করতে আমি উন্মুখ।’

বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের নতুন কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে মার্টিন হল্টমানকে নিয়োগ দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)।

ঢাকায় অবস্থান করে হল্টমান বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি এবং প্রভাব বিস্তারকারী বিনিয়োগ (ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট) বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেবেন। কারণ এই অঞ্চল করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে।

মার্টিন হল্টম্যান ওয়েন্ডি ওয়ার্নারের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। ওয়েন্ডি ওয়ার্নার ছয় বছর ধরে বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করার পর ভারতে আইএফসির কান্ট্রি হেড হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।

রোববার আইএফসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

হল্টমানের জন্ম জার্মানিতে। ২০০৭ সালে তিনি আইএফসিতে যোগ দেন।

তিনি ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশনের গ্লোবাল সেক্টর ম্যানেজার হিসেবে কয়েক লাখ অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মাঝে চিরায়ত এবং ডিজিটাল অর্থনৈতিক সেবা সুবিধা নিয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি করেন।

এ ছাড়া তিনি প্রায় ২০০ সহযোগী সংস্থার সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগ ও পরামর্শ সহায়তা দিয়েছেন।

আইএফসির দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক পরিচালক হেক্টর গোমেজ আং বলেন, ‘আইএফসি বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালে কাজকে আরও দৃঢ় করছে। এমন পরিস্থিতিতে মার্টিনের কর্ম-অভিজ্ঞতা এ অঞ্চলে আইএফসির জন্য অমূল্য হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন নতুন চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগের সময়। আমি নিশ্চিত যে মার্টিন সবুজ এবং স্থিতিশীল অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তায় এই তিনটি দেশে আইএফসির প্রচেষ্টা জোরদার এবং এর কাজে বৈচিত্র্য আনতে নেতৃত্ব দিতে সফল হবেন।’

হল্টমান জলবায়ু, জেন্ডার এবং সবুজ প্রবৃদ্ধির ওপর আইএফসির প্রভাব বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের পোর্টফোলিও নির্মাণ এবং বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনতে কাজ করবেন। এ অঞ্চলে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের সুযোগের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো পরিবহন এবং লজিস্টিকস, সবুজ জ্বালানি, আর্থিক পরিষেবা, পর্যটন, কৃষি ব্যবসা, স্বাস্থ্যসেবা এবং আবাসন।

নতুন দায়িত্ব সম্পর্কে হল্টমান বলেন, ‘বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে কাজ করতে যাওয়ার বিষয়ে আমি খুবই আনন্দিত। এই দেশগুলো জোরালো অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা এবং আর্থিক চাপের মুখে উল্লেখযোগ্যভাবে টিকে থাকার সামর্থ্য দেখিয়েছে। বাজার তৈরি এবং টেকসই উন্নয়ন উৎসাহিত করতে আইএফসির প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করতে আমি উন্মুখ।’

হল্টমান কানাডার লেস্টার বি. পিয়ারসন ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড কলেজ অফ দি প্যাসিফিকের একজন স্নাতক। তিনি জার্মানির ট্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে দুটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

আইএফসিতে যোগদানের আগে হল্টম্যান দরিদ্রদের সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক গ্রুপের (সিজিপিএ) প্রধান আর্থিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি একটি বেসরকারি কনসালটিং প্রতিষ্ঠানের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও হল্টম্যান বিশ্বব্যাংকের ২০২২ সালের বিশ্ব উন্নয়ন প্রতিবেদনের মূল লেখকদের একজন।

২০০০ সাল থেকে আইএফসি বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করতে প্রায় আট বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে আইএফসি এ অঞ্চলের বিভিন্ন ব্যাংককে চলতি মূলধন এবং বিভিন্ন কোম্পানিকে তারল্য সহায়তা হিসেবে ২৭০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে।

আইএফসি মনে করে, এই বিনিয়োগ এসব প্রতিষ্ঠানকে সচল রাখতে, রপ্তানি চালু করতে এবং কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করছে, যা জাতীয় অর্থনীতিকে টেকসই রাখার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।

এ বিভাগের আরো খবর